uncategory

সাংসদ দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ

রাজধানীর স্বনামধন্য ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে একের পর এক মিলছে ক্যাসিনোর সন্ধান। ক্যাসিনোকাণ্ডে টালমাটাল পুরো দেশ। এর সূত্র ধরে ধারাবাহিক অভিযানে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, বেরিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন অনেক হেভিওয়েট নেতার নাম।

এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের বহু নেতার নাম জড়িয়ে পড়েছে ক্যামিনো কেলেঙ্কারিতে। ক্যাসিনোর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সর্বোশেষ গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকা মহাগনর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাঈদ চৌধুরী সম্রাট। এর আগে গ্রেফতার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজে। এবার ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ক্রিকেটার ও মানিকগঞ্জ ১ আসনের সাংসদ এ এম নাইমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে সাংসদ দুর্জয়কে ক্যাসিনো খেলতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে দেখা গেছে দুর্জয় ক্যাসিনো টেবিলে খেলছেন আর একজন কর্মী সেই খেলা পরিচালনা করছেন। দুর্জয়ের ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে তার নাম। এছাড়া ক্যাসিনোকাণ্ডে আটক ব্যক্তিরাও দুর্জয়ের নাম বলেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সরকার দলীয় সাংসদের ক্যাসিনো সম্পৃক্ততায় অনেকেই বিব্রত। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া নির্দশনা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কারণে শুদ্ধি অভিযানের অভিযানের মাধ্যমে বের হতে চলেছে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটারের অপরাধ জগতের ভয়ানক কেলেঙ্কারি চিত্র।

জানা গেছে, লোক চক্ষুর আড়ালে এমপি দুর্জয় ছিলেন সাবেক যুবলীগ নেতা খালেদের ঘনিষ্ঠজন ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ের অংশীদার। এছাড়া বিতর্কিত ব্যবসায়ী লোকমান ভূইয়া ও এমপি দুর্জয় একই সঙ্গে বিসিবির দীর্ঘদিন পরিচালক থাকায় গোপনে অস্ট্রেলিয়া সিঙ্গাপুরে চালাচ্ছিলেন অর্থ পাচার, অবৈধ ক্যাসিনোর মানি লন্ডারিং ও এক্ষেত্রে কিছু অভিনেত্রী মডেলরা সঙ্গী হতেন বিভিন্ন দেশে। প্রাথমিক ভাবে তিন টিভি মডেল সনাক্ত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে সাংসদ দুর্জয়কে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।