সহিংসতার জন্য যিনি দায়ী তাকে বলুন
ঢাকা জার্নাল: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চলমান সহিংসতার জন্য আমি দায়ী নই। যিনি দায়ী তাকে গিয়ে বলুন।
সোমবার রাতে গণভবনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান সঙ্কট নিরসনে আমি বিরোধীদলীয় নেতাকে ফোন করেছিলামি। কিন্তু তিনি আমার আহবানে সাড়া দেননি। তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছি। তারা আসেননি। এখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন করতে হচ্ছে। এখানে আমার কিছু করার নেই। দেশে যেসব সহিংসতা হচ্ছে এ জন্য আমি দায়ী নই। যিনি এসবের জন্য দায়ী আপনারা তাকে গিয়ে বলুন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হরতাল অবরোধে প্রতিনিয়ত সহিংসতায় আমদানি রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে জানালে জবাবে তিনি বলেন, এ বিয়টি আমার নজরে আছে। ওই মহাসড়কে নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যবসার জন্য যে ধরনের নিরাপত্তা দেয়া দরকার সরকার সব করবে।
রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেফ এক্সিট চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য যা যা করা দরকার সব করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সম্প্রতি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্ট পরিদর্শনে যাবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় গণভবনে পৌঁছে। বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আবদুস সালাম মুর্শেদী, বিকেএমইএ’র সভাপতি, বিটিএমইএ’র সভাপতিরা এ দলে ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পায়ে হেটে গণভবনের উদ্দেশে রওয়ানা করেছিলেন ব্যবসায়ী নেতারা। কিন্তু ফার্মগেট পুলিশ বক্সের সামনে তাদের আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে অবশ্য পুলিশি পাহারায় তাদের গণভবনে নেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিজিএমইএ ভবন থেকে তারা রওয়ানা করেন।
প্রাইমনিউজ.কম.বিডির স্টাফ রিপোর্টার ওবায়দুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে জানান, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশে ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছেন। তারা গুলশানে বিএনপি চেয়ারসনের কার্যালয়েও যেতে পারেন।
পদযাত্রাটি ফার্মগেট পৌঁছালে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ চারপাশ ঘিরে সেখানেই তাদের আটকে দেয়। এসময় ব্যবসায়ীরা স্লোগান দিতে থাকেন গামের্ন্টসে আগুন কেন, জবাব চাই, জবাব চাই।
ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ২, ২০১৩।