সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে
ঢাকা জার্নাল: সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম) সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর তিন দিনের মঙ্গোলিয়া সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গুলশানে হামলার পর কিছু রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হচ্ছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনও কি ঐক্যের বাকি আছে? সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য তো হয়ে গেছে। গ্রামে গ্রামে কমিটি হচ্ছে। সর্বস্তরের মানুষ সচেতন হয়ে উঠেছে। এখন ঈদের নামাজে সনাতন ধর্মের যুবকেরা পাহারা দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য অভূতপূর্ব অর্জন।
সন্ত্রাস প্রতিরোধে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা জানান, মঙ্গোলিয়ার উলানবাটরে অনুষ্ঠিত এশিয়া-ইউরোপ মিটিংয়ে (আসেম) অংশ নিয়ে তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সবসময় অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, আমাদের আসেম সম্মেলন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফ্রান্সের নিচে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নিরীহ অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়। বিশ্ব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বাংলাদেশও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
‘এরপর সম্মেলন চলাকালে শুক্রবার রাতে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়। আমরা সেটারও নিন্দা জানাই। কারণ বাংলাদেশ সবসময়ই অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে।’
তিনি জঙ্গিবাদ বিষয়ে সরকারের অবস্থানের কথাও আসেমে বলেছেন বলে জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসেমে অংশ নিয়ে আমি জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা বিশ্বনেতাদের জানিয়েছি। কেবল তাই নয়, বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসে মদতদাতা, অর্থদাতা ও প্রশিক্ষণদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী উলানবাটরে যান। তারপর দিন আসেমে অংশগ্রহণসহ রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। বৈঠক করেন আরও বেশ ক’জন বিশ্বনেতার সঙ্গে। তিন দিনের সফর শেষে শেখ হাসিনা শনিবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১৭, ২০১৬।