Leadশীর্ষ সংবাদসংবাদ শিরোনাম

সদস্য পদ রক্ষায় সংসদে বিএনপি

A-Khaleda-Zia-in-Parliament20130603100921ঢাকা জার্নাল: সদস্যপদ রক্ষা ও বেতনভাতার সুযোগ বহাল রাখতেই বিএনপি সংসদে এসেছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ। সোমবার বিকেলে শুরু হওয়া নবম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের প্রথম দিন বিএনপির ওয়াক আউপের পর এ অভিযোগ করেন তিনি।

টানা ৮৩ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকার পর বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের ৩৮ জন এমপি সংসদে যোগ দেওয়ার মাত্র দু’ঘণ্টার মাথায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ওয়াক আউটের ঘোষণা দেন। কোন রকম উস্কানী ছাড়াই ঘোষণা দিয়ে ওয়াক আউট করেন তিনি।

তবে ওয়াক আ্ভাউট করার আগে সমাবেশ নিষিদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রতিবাদ করেন মওদুদ।

এর জবাবে তোফায়েল বলেন, “বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ যে বক্তব্য দিয়ে ওয়াক আউট করলেন, তার ব্যাখ্যা এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এক মাস অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করা যাবে। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অনুমতি আছে। কিন্তু আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, তারা কি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেন?”

তোফায়েল বলেন, “গত ৪ মে বিএনপির কোনো জনসভা করার কথা ছিল না। তারা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ওই দিন রাজধানীতে সমাবেশ করলেন, আর আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেন।”

তিনি বলেন, “ হেফাজতের কর্মসূচি সামনে রেখেই বিএনপি এ আল্টিমেটাম দিয়েছিল। ৫ মে হেফাজত কর্মসূচি করলো। বিএনপি আদর্শিকভাবে তাদের সমর্থন করলো। তারা শাপলা চত্বরে সমাবেশের নামে নিরীহ ব্যবসায়ীদের ওপর অত্যাচার, দোকানপাটে আগুন দিলো। মানুষ হত্যা করলো, পুলিশ হত্যা করলো ”

তোফায়েল অভিযোগ করেন, “হেফাজতের কর্মসূচিতে বিএনপি-জামায়াত পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য চালালো। মানুষ হত্যা করলো। খালেদা জিয়া ঢাকাবাসীকে হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানালেন। তাদের গরু খাওয়ানোর সুযোগও করেছিলেন।”

তিনি বলেন, “বিরোধী দলীয় নেত্রী  খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন, হেফাজতের কর্মসূচির দিন জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করতে। তিনি এর আগেও সেনাবাহিনীকে উস্কানি দিয়ে বলেছিলেন- আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে দায়িত্ব পালন করবে।”

তোফায়েল বলেন, “বিএনপি অনুমতি নিয়ে সভাসমাবেশ করতে পারবে। কিন্তু তারা তা করে না।”

মওদুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “উনি বিএনপির আইনমন্ত্রী থাকা অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেননি।”

তোফায়েল বলেন, “বিএনপি ৮৩ কার্যদিবস অনুপস্থিত থেকে বেতন ভাতার জন্যই সংসদে এসেছে।”

স্পিকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনি যদি ওদের (বিএনপি) কথা বলতে না দিতেন, আজকে কার্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে যদি তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার কথা না জানাতেন, তাহলে তারা এভাবে ওয়াক আউট করার কোনো সুযোগ পেত না।”

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা বার বার বলেছি, বিএনপি যদি কোনো আলোচনা করতে চায়, তাহলে আসুন, প্রস্তাব দিন। আমরা যে কোনো বিষয়েই আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। কিন্তু তারা তা দেবে না। সংসদে যত সুযোগ সুবিধা তারা গ্রহণ করবে। এটা দুঃখজনক। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড অগণতান্ত্রিক।”

তোফায়েল বলেন, “তারা চায় না দেশে গণতন্ত্র থাকুক। তারা মানুষ হত্যা করে, বাস পুড়িয়ে দেশেকে অস্থিতিশীল করে রাখতে চায়।”

ঢাকা জার্নাল, জুন ৩, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.