সারাদেশ

সদরঘাটে খেয়া পারাপার বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সদরঘাট এলাকায় খেয়া পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বুড়িগঙ্গার এই অংশের দুই পাড়ের যাত্রীরা। খেয়া মাঝিরা বলছেন, পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা খেয়া পারাপার বন্ধ রাখতে বলেছেন, মূলত বিএনপির সমাবেশ ঘিরে এমন নির্দেশনা। তবে সংশ্লিষ্ট থানা বলছে, খেয়া পারাপার বন্ধ থাকার কথা তাদের জানা নেই।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে সদরঘাট এলাকার খেয়াঘাট ও লালকুঠি ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাটে কিছু নৌকা বাঁধা থাকলেও যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ নৌকা নদীর অপর পাড় কেরানীগঞ্জ অংশে বাঁধা রয়েছে। দুই-একটা নৌকা যাতায়াত করলেও তাতে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না। নৌকায় ও ঘাটে বৃষ্টির মধ্যেই সময় পার করছেন মাঝিরা। নদী পার হতে আসা যাত্রীরা ফেরত যাচ্ছেন। কেরানীগঞ্জ থেকেও এপাড়ে আসতে পারছেন না যাত্রীরা। খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় আধা-কিলোমিটার দূরে বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।

মাঝিরা জানান, নৌ-থানা পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে খেয়া পারাপার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কেন এমন নির্দেশনা জানেন না তারা। উল্লেখ্য, গত বছর ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে এসব ঘাটে খেয়া পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছিল।

ওয়াইজ ঘাট এলাকার খেয়ামাঝি শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকেই ঘাটে বসে আছি। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতারা এসে বলে গেছেন, খেয়া পারাপার বন্ধ রাখার জন্য। আজ বিকাল বা সন্ধার দিকে খেয়া পারাপার শুরু হতে পারে। সেই আশায় বসে আছি।’

নদী পার হতে আসা যাত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সকালে খেয়ায় করে এপাড়ে এসেছি। এখন এসে দেখি খেয়া চলছে না। ঘুরে ব্রিজ দিয়ে যেতে হবে। ১০ মিনিটের রাস্তা এখন আধা ঘণ্টা লাগবে।’

লালকুঠি ঘাটের মাঝি সাহাদত বলেন, ‘বিএনপির মিটিং, তাই খেয়া পারাপার বন্ধ। বিএনপির মিটিং হলেই পারাপার বন্ধ হয়ে যায়।’

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন নেতা ও নৌ-থানার কোন পুলিশ সদস্য, বা কারা পারাপার বন্ধ রাখতে বলেছে জানতে চাইলে নির্দিষ্ট কারও নাম বলতে পারেননি মাঝিরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে খেয়া পারাপার বন্ধের বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আমাদের কাছে এমন কোনও অভিযোগ আসেনি। পুলিশের কাজ আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। সেক্ষেত্রে নৌকা বন্ধ করার দরকার নেই। তারপরও আমি মাঝিদের সঙ্গে কথা বলবো।’