Lead

সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের গোয়েন্দা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্থল, জল এবং আকাশপথে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাখা হয়েছে রিজার্ভ ফোর্স। যেসব জায়গায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে বিভিন্ন মাজার ও শিয়াদের ঈদের নামাজে।

সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা সমন্বিতভাবে ঈদকে কেন্দ্র করে ঈদের নামাজ এবং জনসাধারণের ফাঁকা বাসাবাড়ির নিরাপত্তায় কাজ করছে। ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন ব্যাংক, মার্কেট, স্বর্ণের দোকান বন্ধ থাকবে। এ সময় অপরাধীরা যেন কোনও অপতৎপরতার সুযোগ না পায় সে ব্যাপারে অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তৎপর রয়েছে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। কেউ অপরাধ করে যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে নিরাপত্তা চৌকি। নজরদারি রাখা হবে সিসিটিভিতেও। রাজধানীর আশপাশ ছাড়াও বিভিন্ন নৌপথে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি।

শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশের যেসব জায়গায় ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সেখানে নেওয়া হয়েছে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেসব জায়গায় যারা নামাজ পড়তে যাবেন তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েক ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পার হয়ে ঈদগার জামাতে অংশ নিতে হবে। সেজন্য সবাইকে হাতে সময় রেখে ময়দানে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া ছাতা, মোবাইল ফোন, জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোনও কিছু নামাজের সময় নিয়ে না আসার পরামর্শ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঈদের সময়ে যেকোনও ধরনের গুজব রোধে অনলাইনে তৎপর থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। সাইবার ইউনিটগুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নজর রাখছে। যারাই কোনও ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবে কিংবা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশেষ করে গরুর হাটে থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারি। জাল টাকা, ছিনতাইকারী, পকেটমার, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। গরু বিক্রির পর ব্যাপারীরা টাকা নিয়ে বাড়ি যাবার পথে যেন কোনও সমস্যা সম্মুখীন না হয় সে জন্য পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় আলাদা করে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মাজার বা পীরদের আখড়ায় ঈদের জামাত হয়। সেসব জায়গায় হামলার আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের জায়গা চিহ্নিত করে আলাদা নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন  বলেন, যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঈদ কেন্দ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীসহ দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এরইমধ্যে ঈদের বড় বড় জামাত যেসব জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে সুইপিং করা হয়েছে।