রাজনীতি

সংলাপে যাওয়ার শর্ত দিলো বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, সরকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সংলাপের আহ্বান জানালে তাতে সাড়া দেবে বিএনপি। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগেও ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে বসেছিল। আমরা আমাদের প্রস্তাবনা পেশ করলেও কোনও কাজে আসেনি। কারণ, তার সাংবিধানিক কোনও ক্ষমতা নেই।

শনিবার (৮ এপ্রিল) বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যার সাথেই সংলাপ হোক না কেন, মূলত সরকার প্রধানের ইশারার বাইরে কেউ কথা বলেন না। সরকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানালে তাতে সাড়া দেবে বিএনপি।’

সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে আপনার মূল্যায়ন কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি অনির্বাচিত সংসদ। সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর। কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ২২টি রাজনৈতিক দল গত বছরের ২ আগস্ট থেকে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের প্রধান দাবি সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। এ আন্দোলন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে ১৭ জন জীবন দিয়েছে। এ পর্যন্ত আমাদের ৬০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত রাখা হয়েছে। এ সরকারের আমলে আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসেও আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে, বাধা দেওয়া হচ্ছে। এরা গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। এভাবে গায়ের জোরে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায়।’

এ সময় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আমরা আজকের সভায় ভবিষ্যত আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আলোকপাত করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংযমের মাসেও সংঘাত করতে চায়। এই আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালীন রমজানে মাসেও হরতাল দিয়েছিল।’

সভায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. নুরুল আমীন ব্যাপারী, গণদল চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সভাপতি নাসিম খান, বাংলাদেশ পিপলস লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গরীব নেওয়াজ।