সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

শ্রমআইন ও বিধিমালাকে শ্রমবান্ধব করতে হবে -গোলটেবিল বৈঠকে নেতৃবৃন্দের দাবি

15 ২৫ অক্টোবর সকাল ১১টায় পল্টনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে “বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এবং সদ্য প্রনীত বিধিমালার আলোকে শ্রমিক ও শিল্পের পরিস্থিতি” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি শ্রমিকনেতা এ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা কাজী রুহুল আমিন। বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি সংগ্রামী শ্রমিক জননেতা কমরেড মনজুরুল আহসান খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শাহ মো. আবু জাফর, বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক বুদ্ধিজীবি সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ। বৈঠকের সঞ্চালনা করেন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময় অর্জিত স্বাধীন দেশে মালকরা লুটপাটের স্বাধীনতা পেয়েছে। সংবিধান আইএলও কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষনা পরিপন্থি ধারাসমূহ পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক আইন প্রনয়ণ করতে হবে। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কোনোদিনই শ্রমিকদের কোনো দাবি আন্দোলন ছাড়া আদায় হয়নি। নেতৃবৃন্দ সকল শ্রমিক কর্মচারীকে ঐক্যবদ্ধভাবে তীব্র সংগ্রামের মাধ্যমে সরকার ও মালিকদেরকে দাবি মানতে বাধ্য করানোর আহ্বান জানান।
আলোচনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমআইন ও বিধিমালাকে পরিবর্তন করে অতীব জরুরী ১০টি সুপারিশ পেশ করা হয়ঃ-
১। আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুসারে সকল শ্রমিকদের স্বাধীনভাবে সংগঠন করা, সংঘবদ্ধ হওয়া, পছন্দ মত নেতা নির্বাচন করা, দরকষাকষি করা এবং ধর্মঘট করার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
২। তদারকি কর্মকর্তার বিষয়টি বাদ দিয়ে মালিক ও জেনারেল ম্যানেজার ব্যতিত সকলকে শ্রমিক হিসেবে গণ্য করতে হবে।
৩। শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্পের শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকদেরকে প্রতিষ্ঠানের নীট লাভের পাঁচ শতাংশ সরাসরি কারখানা হইতে প্রদান করতে হবে।
৪। মালিকের নিজের তৈরি কোনো চাকুরীর বিধিমালায় কারখানা পরিচালনা করতে পারবে না। প্রচলিত শ্রম আইন অনুসারে কারখানা পারিচালনা করতে হবে।
৫। কারখানা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ৪০ কিলোমিটার এর পরিবর্তে আইন অনুসারে ৮ কিলোমিটার করতে হবে।
৬। চাকুরীর মেয়াদ ১ বছরের অধিক হলেই অব্যাহতি নিলে প্রতি বছরের জন্য ১ মাসের মজুরি প্রদান করতে হবে।
৭। ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা হওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী শ্রমিক বাধ্যতামূলক না করে যে কোনো শ্রমিক হতে হবে।
৮। দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের ফলে মৃত্যু ও স্থায়ী অক্ষমতার ক্ষেত্রে  Los of Future earning দিতে হবে। সকল প্রকার চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ মালিক কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে।
৯। অসদাচরনের বিধান পরিবর্তন করে শ্রমিককে চাকুরীর নিশ্চয়তা এবং সার্ভিস বেনিফিটের প্রাপ্তী নিশ্চিত করতে হবে।
১০। ঠিকাদারী সংস্থা ও প্রথা বাতিল করতে হবে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.