সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

শেখ হাসিনা যা বলেন, তাই করেন

02শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় সংসদে সন্তোষ প্রকাশ করেন একাধিক মন্ত্রী ও এমপি।

এই রায় কার্যকর হওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, উনি ভাঙবেন, কিন্তু মচকাবেন না। উনি যা বলেন, তাই করেন।

রোববার (২২ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী, এমপিরা এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় না থাকলে কেউ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেন না। বঙ্গবন্ধুর মতো একই বৈশিষ্ট্য শেখ হাসিনার মধ্যে বিদ্যমান। তিনি যা বিশ্বাস করেন, তা বলেন এবং তাই করেন। তিনি মৃত্যুকেও পরোয়া করেন না। তার ওপর অনেক আন্তর্জাতিক চাপ ছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও কারো কাছে মাথানত করেননি। মৃত্যুর ভয়কে তুচ্ছ করে শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে যাচ্ছেন। আমাদের কপালের কলঙ্কের তিলক উনি মুছে দিচ্ছেন।

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম লুণ্ঠিত হয়েছে। কয়েকটি ক্ষমতাধর দেশ ইনিয়ে-বিনিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলতে চেয়েছিলো। আমি প্রশ্ন করতে চাই- এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীরা যখন দেশে গণহত্যা চালিয়েছিলো, তখন তারা কোথায় ছিল? এরা কোনোদিন আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। একাত্তরে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা ও সপ্তম নৌ-বহর পাঠানোর ইতিহাস বাঙালি জাতি ভুলে যায়নি। তাই আপনাদের অনর্থক খবরদারি ও দালালি অতীতেও কাজে লাগেনি, আগামীতেও লাগবে না।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ফিসফাস করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে না। জাতিকে দেওয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে। তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, আবর্জনারা বঙ্গোপসাগরে নিক্ষিপ্ত হবে।

তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, অপরাধীদের বিচারহীনতার বাজে সংস্কৃতি পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসকরা চালু হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসিকতার সঙ্গে দেশকে বিচারহীনতার সেই সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করেছেন। নির্বাচনী অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে উনি পালন করছেন। দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী প্রাণভিক্ষা প্রার্থনা করে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। বিদেশি গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা কোন ধর্মীয় নেতাকে ফাঁসি দেইনি, একজন কুখ্যাত রাজাকার, গণহত্যাকারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করেছি মাত্র। এর মাধ্যমে অপরাধ করলে যে দায়মুক্তির কোনো সুযোগ নেই, সেটাও প্রমাণ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে কোনো দিনই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হতো না। পৃথিবীর কোনো দেশে নেই, পরাজিতরা সে দেশে রাজনীতি করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি যদি কেউ করে থাকেন, তিনি হলেন মুক্তিযোদ্ধা নামধারী জিয়াউর রহমান। কারণ এই যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন উনি ভাঙবেন, তবুও মচকাবেন না।

নভেম্বর ২২, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.