শরীয়তপুরে যুদ্ধাপরাধী সোলায়মান গ্রেফতার
ঢাকা জার্নাল : শরীয়তপুরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সোলায়মান মোল্যা ওরফে সলেমান মৌলভীকে (৮৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ জুন) রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১০ সালে শরীয়তপুরের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদারের দায়ের করা যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রধান আসামি সলেমান মৌলভী।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সলেমান মৌলভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সলেমান মৌলভীকে আটক করে। বর্তমানে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত সাহা জানান, সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
মামলার বাদী ও শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, ২০১০ সালে সলেমান মৌলভীসহ কয়েকজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে মামলার করার পর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে শহরের বাইরে নিজের বাড়িতে না থেকে শহরে বাসা ভাড়া করে থাকি। পাঁচ বছর পর রাজাকার সলেমান মৌলভীকে গ্রেফতার করায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।
উল্লেখ্য, রাজাকার সলেমান ও মৌলভী ইদ্রিস আলী সরদারসহ আরো সাতজন রাজাকার (এদের অনেকেই মারা গেছেন) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া, কাশাভোগ, মানোহর বাজার, মধ্যপাড়া, ধানুকা, রুদ্রকরসহ হিন্দু প্রধান এলাকাগুলোতে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালান। তারা মাদারীপুরের এআর হাওলাদার জুট মিলে রাজাকার হিসেবে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। তাদের সহায়তায় পাকিস্তানি সেনারা এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে। নারীদের হত্যার আগে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়।
ঢাকা জার্নাল, জুন ১৫, ২০১৫