রোয়ানুর প্রভাবে ১৯ জনের প্রাণহানি
ঢাকা জার্নাল: অনেকটা দুর্বল হয়ে উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এর প্রভাবে কয়েক ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস-জোয়রসহ বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়ার কারণে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৮, কক্সবাজারে ২, পটুয়াখালী ১, ভোলা ৩, নোয়াখালী ৩ ফেনী ১ এবং লক্ষ্মীপুর ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম
নগরীর পাঁচলাইশ থানার চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সের পেছন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাকিব (১১) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে খানখানাবাদ ইউনিয়নে ৪ জন এবং ছনুয়া ইউনিয়নে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন।
এছাড়া সীতাকুণ্ডে উপজেলার জঙ্গল ছলিমপুরের পাহাড়ি এলাকা কালাপানিয়া লোকমানের ঘোনা এলাকায় ঘড়ের উপর গাছ ভেঙে পড়ে মা-ছেলের মৃত্যু হয়।
এরা হলেন- স্থানীয় মোহাম্মদ রফিকের স্ত্রী কাজল বেগম (৪৮) ও তার ছেলে বেলাল হোসেন বাবু (১০)।
কক্সবাজার
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু কক্সবাজারের সমুদ্রউপকূলে জোরালো আঘাত হানতে না পারলেও এর প্রভাবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১০ জন। এরা হলেন- কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে ইকবাল (২৫), উত্তর কৈয়ার বিল এলাকার ফয়েজুর রহমানের ছেলে ফজলুল হক (৫৫)।
এর মধ্যে ইকবাল বাড়ির দেয়াল চাপায় এবং ফজলুল হক নৌকায় বসা থাকা অবস্থায় অপর একটি নৌকার ধাক্কায় আহত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত জানান জেলা প্রশাসক আলী হোসেন।
নোয়াখালী
হাতিয়া উপজেলায় জোয়ারের পানিতে ডুবে নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরা হলেন, জাহাজমারা ইউনিয়নের মাহফুজা বেগম (৫১) এবং চানন্দী ইউনিয়নে মিনারা বেগম (৪০) ও রুমা বেগম (৯)।
ফেনী
সোনাগাজীতে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জোয়ারের সময় চরে মহিষ আনতে গিয়ে নৌকা থেকে পড়ে নুর আলম জিরা (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মধ্যম চরচান্দিয়া এলাকায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভোলা
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শশিগঞ্জ গ্রামের নয়নে স্ত্রী রেখা বেগম (৩৫) ও একই এলাকার মফিজের ছেলে আকরাম (১৪) নিহত হয়েছেন।
এছাড়া শনিবার বিকেল ৩টার দিকে দমকা হাওয়ার কারণে ঘরচাপা পড়ে দৌলতখানে রানু বিবি (৫০) নামে আরো এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রানু বিবি উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।
পটুয়াখালী
দশমিনা উপজেলায় ঘর ভেঙে চাপা পড়ে নয়া বিবি (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ভোরে উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে ঘরের খুঁটি ভেঙে চাপা পড়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর শহরের সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বাবলাতলি এলাকায় ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে আনোয়ার উল্লাহ (৬০) নামে এক বুদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা জার্নাল, মে ২১, ২০১৬।