Leadসব সংবাদ

রোগী ভাগিয়ে নিতে এসে ক্লিনিক ম্যানেজার আটক

Riponঢাকা জার্নাল : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিতে এসে এক প্রাইভেট হাসপাতালের ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় তাকে রোগীর স্বজনরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় করে।

আটক আবু হানিফ রিপন (৩৮) নাজিমউদ্দিন রোডের চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ এলাকার আব্দুল মালেকের স্ত্রী মোসা. মরিয়ম বেগম (৫০) দালালের প্রতারণার শিকার হয়ে ওই ক্লিনিক থেকে ভুল চিকিৎসার শিকার হন। পরে ঢামেক চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, রোববার  (২৮ ফেব্রুয়ারি) এখানে ভর্তি হন।

রোগীর মেয়ে কুলসুমা ও জেসমিন জানান, তাদের মা বেশকিছুদিন ধরে মুখে টিউমারজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তাদের মাকে ভুলতা গাউসিয়া থেকে ঢামেকের বহির্বিভাগে নিয়ে আসেন।

এসময় হাসান নামে এক ব্যক্তি ঢামেকে চিকিৎসক নেই ও সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যাবে না, বলে তাদের প্রভাবিত করে চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওই ক্লিনিকে যাওয়ার পর হতদরিদ্র পরিবারটিকে আটকে ফেলে তাৎক্ষণিক অপারেশন করার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ম্যানেজার আবু হানিফ রিপন। সেদিনই ৩৫ হাজার টাকার চুক্তিতে মুখের ভেতরের টিউমার কেটে ফেলে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হয় রোগীকে।

মেয়েরা জানান, রিলিজ পেয়ে মাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে যান। এরপর মায়ের মুখে ব্যথা শুরু হলে তারা ওই ক্লিনিকে যোগাযোগ করেন। এসময় তারা ঘুমের ঔষধ খাইয়ে মাকে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। যা মেনেও কোনো কাজ হয়নি।

পরে তারা রোববার পুনরায় ঢামেকে আসেন ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত তাকে ভর্তি করান। তখন চিকিৎসকের কথায় বুঝতে পারেন, তারা প্রতারিত হয়েছেন।

রোগীর স্বজনরা আরও জানান, এদিন বিকেলে ম্যানেজার রিপনকে তারা ফোন করে বলেন, তাদের এক বোন অসুস্থ, তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

পরে ৫০ হাজার টাকার জায়গায় ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে রিপনকে ঢামেকে নিয়ে আসেন। রিপন হাসপাতালে এলে রোগীর স্বজনরা ঝাপটে ধরে তাকে আটকে ফেলেন ও ঢামেকের ক্যাম্প পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এসময় রিপন জানান, নাজিমউদ্দিন রোডের চৌধুরি জেনারেল হাসপাতাল নামে ওই ক্লিনিকটি বর্তমানে বংশালের নবাব কাটার‍ায় অবস্থিত, এর মালিকের নাম মাসুদুর রহমান।

ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, রোগীর স্বজনদের কথায় প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটক রিপনকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শাহাবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ০১, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.