Leadসব সংবাদ

রেস্তোঁরায় ওয়েটারের কাজ করেছি: ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা জার্নাল: ‘কোনও পেশাই অসম্মানের নয়, আমি নিজেও বিদেশে রেস্তোঁরায় ওয়েটারের কাজ করেছি’ বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশকে নিজের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার সময় তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে গিয়ে নি:স্বপ্রায় চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা হস্তান্তর করেন। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মো. মিজান-উল-আলম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশ ও তার নির্মিত ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক এলিনা শাম্মীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, ‘আমি নিজে যখন বিদেশে পড়াশুনা করতাম, তখন আমি হোটেল-রেস্তোঁরায় কাজ করতাম। আমি নিজেও টি-বয়ের কাজ করতাম, সেখানে টি-বয় বলে না, ওয়েটার বলে। এটি বলতে আমার কোনও দ্বিধা নেই যে, আমি সেই কাজ করতাম। একদিন দুদিন নয়, আমি বিদেশে অনেক দিন ছিলাম মাস্টার্স ও ডক্টরেট করার জন্য। সেখানে অনেক দিন কাজ করেছি, মাসের পর মাস।’ কোনও কাজই অসম্মানের নয়’ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

 ‘অরণ্য পলাশের এই পরিস্থিতি দেখে আমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব- সবার সাথে আলোচনা করেছি যে তাকে আমরা কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি কি-না’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আজকে তাকে ডেকেছি ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে সহায়তা করার জন্যে। কারণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা করতে হলে একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। সরকার যে অনুদান দেয়, সেটার একটা কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে সেটা অনুমোদিত হতে হয়। কমিটির সঙ্গে আমি কথা বলবো।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পরিচালক পলাশের  চলচ্চিত্র যাতে মুক্তি পায়, সেজন্য আরও কি খরচ দরকার, কিছু খরচ তো সে করে ফেলেছে। আর কি সহায়তা দরকার, কমিটির সঙ্গে,সেটি আলোচনা করবো।’

কোনও কাজই অসম্মানের নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব কাজই সম্মানের। সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও কাজকে কোনও পেশাকে অসম্মানিত করে কোনো কিছু বলা কারও উচিত নয়। সব মানুষ সম্মানের, সব কাজ সম্মানের।’

অরণ্য পলাশকে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছি, আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছি, অর্থাৎ টি-বয়ের কাজ করেছি, সুতরাং আপনার মনে কষ্ট পাওয়ার কোনও কারণ নেই।’

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ৫, ২০১৯