রুয়েট শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল রুম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আবিষ্কার
ধরা যাক আপনি আপনার বাসার ফ্যানটিকে অফ করতে ভূলে গেছেন। কিন্তু চিন্তা নেই অফিসে বসেই মোবাইল ফোন দিয়েই চাইলেই অফ করে দিতে পারেন রুমের ফ্যানটি।কিংবা অফিস থেকে ফিরছেন, আপনি চান আপনার প্রবেশের পূর্বেই আপনার ঘরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি আগে থেকেই চালু হয়ে যাক। শুধুমাত্র একটি কমান্ডেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই কাজটি করা সম্ভব এ যন্ত্রটি দিয়ে।
ডিজিটাল রুম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
খন্দকার মারছুছ, রুয়েট, ঢাকা জার্নাল: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর ২য় বর্ষের তড়িৎ কৌশল বিভাগের ছাত্র মো: আব্দুর রাজ্জাক জনি এবং বিপ্লব হোসেন আবিষ্কার করল সম্পূর্ন ডিজিটাল রুম নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা।
প্রকল্প তৈরী করা শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের এ যন্ত্রটি দিয়ে একটা ঘরের সব ধরনের ব্যবস্থাই নিয়ন্ত্রন করা যাবে। ডোর লক সিস্টেম’র মাধ্যমে ডিজিটাল সংকেতের সাহায্যে সংয়ক্রিয়ভাবে দরজা তালাবদ্ধ এবং খোলা যাবে। তবে দরজা খোলার জন্য শুধু প্রয়োজন হবে একটি গোপন সংখ্যা। এর সাথে অতিরিক্ত নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে যোগ করা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবস্থা। যেটি আঙ্গুলের ছাপ থেকে ব্যাক্তি সনাক্ত করে রুমের দরজা খুলে দিবে।
(ছবিতে বাম থেকে রুয়েট ছাত্র মো: আব্দুর রাজ্জাক জনি,
শিক্ষক ড: শহীদুল ইসলাম, ছাত্র বিপ্লব হোসেন, শিক্ষক মামুনুর রশীদ
এবং বিভাগীয় প্রধান ড: রফিকুল ইসলাম শেখ)
………………………………………………………..
এছাড়া এই যন্ত্রের সাথে ফ্যান, লাইট , শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র যন্ত্র জুড়ে দিলে এগুলোও চলে যাবে তারবিহীন ব্যবস্থায়। সবগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে রিমোট কন্টোল দিয়ে।
আবার এগুলোর সাথে যুক্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোনও। ধরা যাক আপনি আপনার বাসার ফ্যানটিকে অফ করতে ভূলে গেছেন। কিন্তু চিন্তা নেই অফিসে বসেই মোবাইল ফোন দিয়েই চাইলেই অফ করে দিতে পারেন রুমের ফ্যানটি।কিংবা অফিস থেকে ফিরছেন, আপনি চান আপনার প্রবেশের পূর্বেই আপনার ঘরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি আগে থেকেই চালু হয়ে যাক। শুধুমাত্র একটি কমান্ডেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই কাজটি করা সম্ভব এ যন্ত্রটি দিয়ে।
এছাড়া যন্ত্রটির সাথে কিছু অতিরিক্ত আলোক, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী সংবেদনশীল যন্ত্রাংশ যোগ করা হয়েছে। যার ফলে তাপমাত্রার নির্দিষ্ট ধাপে আসলে সংক্রিয়ভাবে ফ্যান কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। আবার সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশের সাথে সাথেই রুমের আলোক ব্যবস্থাগুলোও সংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রকল্পটি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ই,এপ্রিল) একটা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।এই প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন তড়িৎ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন শিক্ষকবৃন্দ।
তড়িৎ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড: রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, “এ যন্ত্রটি সত্যিই রুম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় এক অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে, যা ডিজিটাল বংলাদেশকে র্আও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে”।
তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষক মো: সামিউল হাবিব জানান, “রুম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হলে খুব কম মূল্যে উচ্চমানের সেবা পাওয়া সম্ভব”।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ১৬, ২০১৩