রানা প্লাজার উদ্ধারকাজ শেষ
ঢাকা জার্নাল: সাভারে ধসে পড়া বহুতল রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে মৃতদেহের সন্ধানে উদ্ধার কাজ সোমবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, উদ্ধারকারীরা ভবনটির বেজমেন্টের একেবারে ছাঁদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন।
উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়কারী কর্নেল ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান বলছেন, “ধ্বংসস্তূপের ভেতরে জীবিত বা মৃত অবস্থায় আর কাউকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সে কারণে আমরা আমাদের অভিযান সমাপ্ত করেছি।”
ন’তলা ভবনটি ভেঙে পড়ার পর গত ২০ দিনে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মোট ১১২৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত অবস্থায় বের করে আনা হয়েছে আড়াই হাজারের মতো মানুষ। এখন এই জায়গাটিতে তুলে দেওয়া হবে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কাছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, ন’তলা এই ভবনটির সবক’টি তলার ধ্বংসস্তূপ সরানো হয়েছে। বেজমেন্টের ছাঁদ সরিয়ে তার নিচেও পৌঁছেছেন কর্মকর্তারা।
“উদ্ধারকাজ চালানোর জন্যে আর কোনো জায়গা বাকি নেই। ফলে উদ্ধার অভিযানেরও আর প্রয়োজন নই।” বলেছেন কর্নেল জামান।
সাভারে এই ভবন ধসের ঘটনাকে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে বড়ো শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে। উদ্ধারকারীরা দাবি করছেন, বেশ সাফল্যের সাথেই তারা সাভারে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছেন। “যতো জীবন আমরা বাঁচিয়েছি এবং যতো মৃতদেহ আমরা উদ্ধার করেছি এ দুটো হিসেবের নিরিখেই বলা যায় যে আমরা এরচেয়েও ভালো কিছু করতে পারতাম না।” বলেন কর্নেল জামান।
কর্মকর্তারা বলছেন, সাভারে উদ্ধারকাজ শূন্য হাতে শুরু করতে হয়েছিলো। কিন্তু পরে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যন্ত্রপাতি সেখানে জড়ো করে সর্বাত্মকভাবে অভিযান চালানো হয়েছে।
এই অভিযানে প্রাথমিকভাবে জীবিত লোকজনকে উদ্ধারের কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ফলে প্রথম পাঁচদিন ছোট ছোট গ্রুপ করে অভিযান চালানো হয়েছে। এবং তারপরেই ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে।
কর্নেল জামান বলেন, “পুরো এই জীবনে দুটো ঘটনা তিনি হয়তো সারাজীবনেও ভুলতে পারবেন না।”
উদ্ধার হওয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পরেও শাহীনার মৃত্যু আর ১৭ দিন পর রেশমাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনা তাকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে।