শীর্ষ সংবাদ

রানার স্ত্রী ও চাচাতো ভাই গ্রেফতার

dhaka351ঢাকা জার্নাল: সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার স্ত্রী সুমি (২২) ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে (২৬) গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার গভীর রাত আড়াইটার দিকে সুমিকে সাভারের দিলকুশায় তার বাবার বাড়ি থেকে এবং রানার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে সাভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এখন ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।

এ নিয়ে ভবন ধসের ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে গ্রেফতার হন রানা প্লাজায় অবস্থিত নিউ ওয়েব বটমস ও নিউ ওয়েব স্টাইল গার্মেন্টসের দুই মালিক বজলুস সামাদ আদনান (৪৫) ও মাহমুদুর রহমান তাপস। ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ওই দুই মালিককে গ্রেফতার করে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার স্ত্রী সুমি ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে সাভার থেকে। আর গার্মেন্টস মালিকদের রমনা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দু’টি দল। গ্রেফতারের পর তাদের প্রথমে সাভার থানায় এবং পরে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “২৪ এপ্রিল ভবন ধসের ঘটনার পর ওই রাতেই ভবন মালিক ও গার্মেন্টস মালিকদের নামে সাভার থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।

আর শুক্রবার সকালে গ্রেফতার হন সোহেল রানার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী মুন্নি বেগম (৩২) ও মুন্নির ফুফা আনোয়ার হোসেন (৫০)।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা গ্রামের পোদ্দারপাড়ায় মুন্নিকে তার বাবার বাড়ি আর ঝিটকার নিজ বাড়ি থেকে আনোয়ারকে গ্রেফতার করে সাভার থানায় নিয়ে আসা হয়।

সাভার থানার অপারেশন অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, “আটক আনোয়ার হোসেন রানা প্লাজার দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন। বুধবারের ঘটনার পর তিনি সাভার থেকে পালিয়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে চলে যান। আর সোহেল রানার সঙ্গে মুন্নির ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে।”

পুলিশ ধারণা, গ্রেফতারকৃত আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রানার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ওই ভবনে ফ্যান্টম অ্যাপারেলস, ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ইথার টেক্সটাইল লিমিটেড নামে আরও ৩টি গার্মেন্টস রয়েছে। এ তিন গার্মেন্টসের দুইজন এখনও পলাতক। তারা হচ্ছেন- ফ্যান্টম অ্যাপারেলস, ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেডের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম এবং ইথার টেক্সটাইল লিমিটেডের মো. আনিসুর রহমান।

তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।

বুধবার ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে ৮ তলা ভবনটি ধসে পড়ে। এর পর থেকে জীবিতদের উদ্ধারে কাজ চলছে। উদ্ধার করা হচ্ছে লাশ। 

 

ঢাকা জার্নাল,

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.