রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা
ঢাকা জার্নাল : নিজ সন্তানদের নিতে এসে বাধা পাওয়ায় রাজধানীর ইসলামবাগে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মোহাম্মদ জীবন আহমেদ নামের এক যুবক। জীবনের ধারালো অস্ত্রে কোপে তার শাশুড়ি মোছা. বেগম (৪৫) ও শ্যালিকা বন্যা আক্তার (২২) নিহত হয়েছেন।
ওই ঘটনায় গুরুতর আহত বন্যার খালা সীমা আক্তারকে (৩৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে বন্যার স্বামী আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে জীবন বাসায় আসেন। তার সঙ্গে প্রথমে বেগমের, পরে বন্যার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মা-মেয়েকে কোপাতে শুরু করে জীবন। এ সময় বন্যার খালা সীমা চিৎকার করলে তাকেও মাথা ও ঘাড়ে কোপানো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন তলা বাসার মেঝের বিভিন্ন স্থানে রক্ত পড়ে আছে। আশপাশের লোকজন এসে ভিড় করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আলামত সংগ্রহ করছিল।
নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জীবনের স্ত্রী সুমি আক্তার দুই সন্তান রেখে আড়াই বছর আগে মারা যান। নানি হিসেবে বেগমই সুমির দুই সন্তান ৮ বছর বয়সি জুঁই ও আড়াই বছর বয়সি সানিকে লালনপালন করতেন। সন্তানদের নিজের কাছে পাওয়ার জন্য বেগমের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন জীবন। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন দরে জীবনের সঙ্গে বেগমের পরিবারের দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুই সন্তানকে নিতে ওই বাসায় আসে জীবন। বেগম ও তার মেয়ে বন্যা এতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা-মেয়েকে কোপায় জীবন। এতে ঘটনাস্থলেই বেগমের মৃত্যু হয়। বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে বন্যার মেজো খালা সীমা আক্তারকেও কুপিয়ে আহত করে জীবন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বন্যার মৃত্যু হয়। সীমা এখনো চিকিৎসাধীন আছেন। কোপানোর পর জীবন তার সন্তানদের নিয়ে গেছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, পারিবারিক কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। জীবনকে আটক করতে পুলিশ কাজ করছে। এ ব্যাপারে এখনো থানায় মামলা হয়নি।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ০৪, ২০১৬।