শীর্ষ সংবাদ

যৌন হয়রানিতে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: শিক্ষা উপমন্ত্রী

যৌন হয়রানিতে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সরকার শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট। সে তুলনায় শিক্ষকদের মাঝ থেকে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ আসছে। বিশেষ করে শিক্ষকের মাধ্যমে যৌন হয়রানি খুবই জঘন্য কাজ। সরকার এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে।’

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘শিশুর চোখে মানসম্মত শিক্ষা ও করণীয়’ শীর্ষক শিশু সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শিশু ফোরাম এই আয়োজন করেছে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘‘মেয়েদের মাসিক একটি প্রাকৃতিক বিষয়। এই বিষয়ে অনেক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তা পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে সচেতন করতে ও মেয়েদের স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করার লক্ষে ‘ঋতু’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।’’

সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির সভাপতিত্বে এ সংলাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী এ সংলাপে অংশ নেয়। ‘শিশুর চোখে মানসম্মত শিক্ষা ও করণীয় শীর্ষক শিশু সংলাপে’ শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের তুলে ধরা অভিজ্ঞতাগুলো হলো- মাদ্রাসাগুলোতে বেশি শারীরিক শাস্তি দেওয়া হয়। স্কুলগুলোতে পরিষ্কার টয়লেট থাকে না। বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। হাওর এলাকায় বছরে দুই বার স্কুল বন্ধ থাকে। মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। স্কুলগুলোতে কোচিং করতে বাধ্য করা হয়।কিছু জানতে চাইলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ধমক দিয়ে বসিয়ে দেন। শিক্ষক স্বল্পতা। এখনও কর্পোরাল পানিসমেন্ট দেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা তাদের সুপারিশে জানান, চাপ ও যন্ত্রণামুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এছাড়া হাওর এলাকায় বছরে দুই বার স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।