‘যেকোনো খেলায় চেষ্টা করি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’
ঢাকা জার্নাল: গত বছরের এ সময়টায় আপনি কোথায় ছিলেন? ‘কাটারবয়’ মুস্তাফিজকে এ প্রশ্নটা ছুড়ে দিতেই সহজ স্বীকারোক্তি, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের নেটে বোলিং করতাম। আর মামার বাসায় ছিলাম। পেস ফাউন্ডেশনেও ছিলাম।’
সেদিনের জাতীয় দলের নেট বোলার আজ জাতির গর্ব। বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসারদের একজন। গত বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের গল্পটা সবারই জানা।
দাপটের সঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বের তিন পরাশক্তি পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে শাসন করেছেন। এখন পর্যন্ত মাত্র ৯ ওয়ানডেতে তুলে নিয়েছেন ২৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা মুস্তাফিজ ইনজুরির ধকল কাটিয়ে আবার টি-টোয়েন্টি দিয়ে বছর শুরু করবেন।
এশিয়া কাপ দিয়ে মাঠে ফিরছেন মুস্তাফিজ। এরই মধ্যে বোলিং শুরু করেছেন। শনিবার দলের সঙ্গে এশিয়া কাপের আনুষ্ঠানিক মিশনে যোগ দিয়েছেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ। কিন্তু আলাদা কোনো রোমাঞ্চ তাকে ছুঁতে পারছে না!
অন্য দশটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মতো করেই এশিয়া কাপকে মূল্যায়ন করছেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এ পেসারের ভাষ্য, ‘এশিয়া কাপ খেলিনি। এটাই প্রথম। দলে রাখার জন্য কোচ-নির্বাচকদের ধন্যবাদ। আমাকে যেহেতু রেখেছে, চেষ্টা করব আমার সেরাটা দেওয়ার।’
টি-টোয়েন্টি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে লাইমলাইটে আসেন মুস্তাফিজ। চলতি বছরের শুরুটা আবার ভারতের সঙ্গেই। প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে নিয়ে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আমার জন্য সব একই কথা। আমাকে সুযোগ দিলে আমি সেরাটা খেলব। ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নাই। সব সময় যে রকম, এবারও সে রকম চেষ্টা করব।’
কাঁধে চোট নিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি থেকে সরে যান মুস্তাফিজুর রহমান। ‘কাটার’ বল করতে খুব সমস্যা হত তার। নিজের চোট নিয়ে মুস্তাফিজ বলেন, ‘এখন অনেক ভালো। অনুশীলন চলছে। আরো চারদিন আছে। আশা করি সব বল করতে পারব।’
মুস্তাফিজের কাছে সাংবাদিকদের শেষ প্রশ্ন, এশিয়া কাপে কি চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব? তার জবাব, ‘যেকোনো খেলায় চেষ্টা করি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’
ঢাকা জার্নাল, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।