যুক্তরাজ্যের ৭৬তম প্রধানমন্ত্রী হলেন টেরেসা মে
ঢাকা জার্নাল: যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন টেরেসা মে। এর আগে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো তার ছয় বছরের শাসনামল।
ডেভিড ক্যামেরন স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর রানির বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়। কয়েক মিনিটের জন্য সরকারপ্রধানশূন্য থাকে যুক্তরাজ্য।
এরপরই বাকিংহাম প্রাসাদে যান টেরেসা মে। রানির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। নতুন সরকার গঠনের জন্য টেরেসা মেকে আহ্বান জানান রানি। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করবেন মে।
বুধবার বিকেলে রানির প্রাসাদ থেকে বের হয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যান টেরেসা মে। সেখানে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। জাতীয় ঐক্য স্থাপনে অঙ্গীকার পুনঃব্যক্ত করেন তিনি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে বাকিংহাম প্রাসাদে সাক্ষাৎ করেন টেরেসা মে
এর আগে ক্যামেরন ও তার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায় নেন। সেখানে তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
ক্যামেরন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম, সে সময়ের চেয়ে দেশকে ভালো অবস্থানে রেখে বিদায় নিচ্ছি।’ আবেগঘন এক পরিবেশে সপরিবারে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগ করেন তিনি।
বুধবার পার্লামেন্টে শেষ বারের মতো উপস্থিত হন ক্যামেরন। পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটের যান। সেখান থেকে রানির প্রসাদ বাকিংহাম প্রসাদে যান এবং রানির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছানোর পর সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা টেরেসা মেকে করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানান
যুক্তরাজ্যের ৭৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। এর আগে মার্গারেট থ্যাচার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত।
ঢাকা জার্নাল, ১৪ জুলাই, ২০১৬।