Lead

মেট্রোরেল চলবে যেভাবে

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল)লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, প্রথমদিকে মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা চলবে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে চলাচলের পথে কোথায় থামবে না ট্রেন, বিরতিহীনভাবে চলবে।

 

এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী মেট্রোরেল পরিচালনার প্রথমদিকে মানুষকে অভ্যস্ত করার জন্য প্রথমদিকে বেশি যাত্রী নেওয়া হয় না। কারণ মানুষ টিকিট কাটার যে প্রক্রিয়া সেটাই সম্পন্ন করতে পারে না। সেজন্য আমরা ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চালাবো। প্রথমে আমরা দুই ঘণ্টা চালাবো। পরে যদি দেখি মানুষ অভ্যস্ত হচ্ছে না তখন আমরা চার ঘণ্টা চালাবো। আস্তে আস্তে তিন মাসের ভেতরে আমরা পূর্ণভাবে পরিচালনা করবো।

 

ডিএমটিসিএলের এমডি জানান, প্রায় দুইশ মানুষকে পরীক্ষামূলকভাবে স্টেশনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। টিকিট কেনাসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে কিন্তু দুই-তিনজন ছাড়া কেউই এটা সম্পন্ন করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, একবার ব্যবহারের টিকিট ও র‌্যাপিড পাস দুটোই ২৯ তারিখ পাওয়া যাবে।

সরকারের সাবেক এ সচিব বলেন, র‌্যাপিড পাস নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আমরা অনলাইনে ফরম ছেড়ে দেবো। অনেক মিসইউজ হতে পারে যেহেতু এটা ১০ বছরের জন্য। রেজিস্ট্রেশন করে আমাদের স্টেশনে থেকে কার্ড নিতে হবে।

জানা গেছে, এ কার্ডের জন্য ২০০ টাকা লাগবে। পরে কার্ডে ২০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।

আরও জানা গেছে, প্রতি কিলোমিটার মেট্রোরেলের ভাড়া ৫ টাকা। একজন যাত্রীর জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা।

 

প্রথমদিকে ১২টি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডিএমটিসিএলের এমডি এর আগে জানান, ১২টি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হলেও ১০টিতে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করা হবে। বাকি দুটি যেকোনও সময়ে চলাচলের জন্য ডিপোতে প্রস্তুত থাকবে। ট্রেন দুটি পরিচালনার কর্মকর্তারাও প্রস্তুত থাকবেন। যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকটি মাথা রেখে সবসময় ব্যাকআপ রাখতে হয়।

 

সূত্র জানিয়েছে, মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন ও আগারগাঁও থেকে মতিঝিল নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকবে বিআরটিসির ৫০টি বাস। এছাড়া সিএনজি, বাস, মিনিবাস, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য পরিবহনও মেট্রো স্টেশনের যাত্রী নিতে পারবে।