মিস মুসলিমায় চট্টগ্রামের কারিশমা দ্বিতীয় রানার আপ
ঢাকা জার্নাল: অবশেষে মিস মুসলিমা ২০১৪ এ দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন চট্টগ্রামের কন্যা তাসনিম তারাননুম কারিশমা।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টার দিকে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় সমাপ্ত ওয়ার্ল্ড মুসলিমা এওয়ার্ডে কারিশমা মোস্ট ফেভারিট মুসলিমা এওয়ার্ড পেয়েছেন। ভোটে সবচে বেশি পেয়েছেন তিনি। তবে সার্বিক বিচারে তিউনেশিয়ার বেনগুয়ে ফ্রাচে ফাতমা চ্যাম্পিয়ন, ইউকে’র দিনা তরকিয়া প্রথম রানার আপ এবং বাংলাদেশী কারিশমা দ্বিতীয় রানার আপ হন।
গেল বছর ওয়ার্ল্ড মুসলিমা ফাউন্ডেশনের এ ধার্মিক ও বুদ্ধিমতি নারীর বিশ্ব মুসলিম সুন্দরী প্রতিযোগীতা নিয়ে বাদ-প্রতিবাদও ওঠেছিল জাকার্তায়। সুন্নী আলেমদের প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত সফল সমাপ্ত হয় এটি। ‘হিজাবের আড়ালে জ্ঞান লুকায়িত নয়’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে প্রতিযোগীতাটি হয় বলে জানান আয়োজক ফাউন্ডেশনের সদস্য জেবা যিজওয়ার। ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা একা শান্তি অনেকটা সামাজিক দায়বদ্ধতাকে ধারণ করে বিশ্ব মুসলিমে ধার্মিক ও সুন্দরীদের ইতিবাচক উপস্থাপনের লক্ষ্যেই এর আয়োজন করেন। যা ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া তুলেছে। দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে কারিশমা পাচ্ছেন ওমরাহ হজ্ব প্যাকেজসহ দারুন অভাবনীয় সব উপহার।
প্রতিযোগীতাটিতে সৌন্দর্য বাচন ভঙ্গি, বুদ্ধিমক্ত ও জীবনাচরণে ধর্মের প্রভাব ইত্যাদি বিবেচিত হয়। এমনকী প্রতিযোগীর তাহাজ্জুতের নামাজও বিবেচিত বলে জানান জেবা যিজওয়ার।
এছর মোট প্রায় ৫শ’ জন প্রতিযোগী থেকে সেমিফাইনালে ৫০ এবং ২৫ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে জার্মান, ইরান, নেদারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগী ছিলেন।
বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করা কারিশমা চট্টগ্রামের মাদারবাড়ির ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহসিন ও শিক্ষিকা সেলিনা আকতারের কন্যা এবং তিনি সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শিক্ষার্থী।
কারিশমা জানান, মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী তিনি। কারিশমা মা তাঁর সন্তানের অনাগত ভবিষ্যতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। মালেশিয়া হয়ে কারিশমার আজ চট্টগ্রামে ফেরার কথা রয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২৩, ২০১৪।