শীর্ষ সংবাদসংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম : দ্বিতীয় শীর্ষে বাংলাদেশ

04ঢাকা : মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে অবস্থান করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এভাবে দেশের ৬০ শতাংশ অর্থ বিদেশে পাচার হয় বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ টিআইবি কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‌্যাক)’ এর সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান। র‌্যাক ও টিআইবির যৌথ উদ্যোগে জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনের ওপর এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সুইস ব্যাংকের বার্ষিক তথ্য অনুযায়ী গত দুই বছর অর্থাৎ ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বাংলাদেশ হাইয়েস্ট ডিপোজিট কান্ট্রি হিসেবে পরপর দুইবার চাম্পিয়ন হয়েছিল। এ থেকেও বুঝা যায় প্রতি বছর দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের আইনি কাঠামোও দুর্নীতি সহায়ক।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনে তুলে ধরলে কার্য্কর ফল পাওয়া যেত। কিন্তু সনদের স্বাক্ষরের প্রথম পর্যায় সরকার সনদ কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্য্করী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও পববর্তীকালে সরকার উদাসীন। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী ৬ষ্ঠ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কেউ অংশ না নেয়া তার প্রমাণ। ফলে দুর্নীতিবাজরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে।’

সরকার চাইলে পাচারকৃত এসব ফেরত আনা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে একজনের অর্থ সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত এনে দেখিয়েছে সরকার। অপরাপর ঘটনায় টাকা ফেরৎ আনার উদ্যোগ না নিলে সাধারণ মানুষ মনে করবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে (প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো) হেয় করার জন্যই এটা করা হয়েছে।’

দেশে সংগঠিত বড় দুর্নীতিগুলোর সঙ্গে উন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে দুর্নীতি শুধু বাংলাদেশ বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা নয়, এ সমস্যা উন্নত বিশ্বেরও বলে যোগ করেন তিনি।

এসময় র‌্যাকের সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সাগর, যুগ্ম-সম্পাদক আদিত্য আরাফাত ও তাওহীদ সৌরভ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফয়েজ, অর্থ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. হাসিব বিন শহিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এ রহমান মাসুম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক গোলাম সামদানী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক রিশাদ হুদা, কাযনির্বাহী সদস্য মোর্শেদ নোমান, সাঈদ আহমেদ, জেসমিন মলি, আবুল কাশেম কাব্য ও তাসকিনা ইয়াসমিন  এবং টিআইবির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের ও পরিচালক রেজুয়ানুল হক উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.