মসলিন পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা

আগস্ট ২৩, ২০১৫

Muslinঢাকা জার্নাল: একসময় ইতিহাসখ্যাত মসলিন বস্ত্রের কদর ছিলো দুনিয়া জুড়ে। ঐতিহ্যবাহী সেই মসলিন সুতা আজ বিলুপ্ত। সরকার সেই ঐতিহ্যবাহী মসলিন সুতা পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা নিয়েছে।

মসলিন সুতা তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে ১২৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালেই শেষ হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিলুপ্ত মসলিন বস্ত্র পুনরায় দেখা যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে প্রকল্পটি তদারকি করা হচ্ছে।

মসলিন সুতা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে ঐতিহ্যবাহী মসলিন সুতা পুনরুদ্ধার একটি। আগামী বছর প্রকল্পটি নিয়ে কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ঐতিহ্যবাহী এই স‍ুতা পুনরুদ্ধার হলে আমাদের বস্ত্র শিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক টুকরো মসলিন বস্ত্র ৪০ হাত দৈর্ঘ্য ও ২ হাত প্রস্থ বিশিষ্ট ছিলো। এটি এতই সুক্ষ ছিল যে, এক টুকরো মসলিনকে একটি আংটিতে সহজেই ভরা যেত।

মসলিন সূতার একটি উল্লেখ্যযোগ্য বৈশিষ্ট হচ্ছে, যে সব অঞ্চল প্রতি বছর গঙ্গার জল ছায়ায় প্লাবিত হয় সেসব এলাকায়-ই শ্রেষ্ঠ জাতের তুলা উৎপন্ন হতো। উন্নত মসলিন তৈরির জন্য উন্নত কার্পাস, স্বচ্ছ পানি, দক্ষ কারিগর এবং আদ্র জলবায়ু প্রয়োজন ছিল।

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কিছু অংশে ও রুপগঞ্জ উপজেলার বৃহৎ অংশ জুড়ে উৎপাদিত জামদানি শিল্পও অতীতের মসলিনের মত ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করছে দেশে- বিদেশে।

ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ২৩, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.