সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

মনোনয়নের জন্য আপিলেও লড়তে হবে কাদের সিদ্দিকীকে

30ঢাকা: টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের জন্য হাইকোর্টের পর এবার আপিলে লড়তে হবে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে।

নির্বাচন কমিশনে অবৈধ হওয়া মনোনয়নপত্রকে হাইকোর্ট বৈধ বলার পর রাষ্ট্রপক্ষ ইতোমধ্যে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনর অবকাশকালীন বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।

কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র ইসি অবৈধ বলে বাতিল করার পর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে বুধবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ কাদের সিদ্দিকীর আবেদন গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনের খারিজাদেশ স্থগিত করেন।

আদালতে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন রাগীব রউফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

পরে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আদালত নির্বাচন কমিশনের আদেশের বিষয়ে রুল জারি করেছেন এবং রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করেছেন।

তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আদালত তার মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুসারে আগামী ১০ নভেম্বর এখানে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অন্য দলের পাশাপাশি এতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার এই দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।

১৮ অক্টোবর বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে রায় দেন।

রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী।

এ রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন।

২০১৪ সালে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর) আসনের উপ-নির্বাচনেও প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সে সময়ও ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিলো।

অক্টোবর ২৫, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.