মত-অমতসংবাদ শিরোনাম

মধ্যম আয়ের দেশ, তবে দুই বাংলাদেশ

Ali-Akber-Ronaহায়দার আকবর খান রনো : এবার সোয়ান গার্মেন্টসের তেরশো শ্রমিকের ঈদ উদ্যাপন করা হয়নি। কারণ তিন মাস ধরে তাদের বকেয়া বেতন বকেয়াই রয়ে গিয়েছিল। ঈদের এক সপ্তাহ আগের থেকে প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তার পাশে সোয়ান গার্মেন্টসের শ্রমিকরা অবস্থান করছিল। এমনকি ঈদের দিনেও বৃষ্টির মধ্যে ভিজে তারা সেখানেই ছিলেন।

 

আমাদের দেশে ঈদ কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, সামাজিক উৎসবও বটে। ধনী দরিদ্র সবাই যে যার সাধ্যমতো একটু আনন্দ করতে চায়। সেই জন্য ঈদের সময় ঢাকা শহর প্রায় ফাকা করে মানুষ অনেক ঝুঁকি নিয়েও গ্রামে চলে যায় একটু আনন্দ উপভোগ করতে আত্মীয় পরিজনের সাথে। সোয়ান গার্মেন্টসের শ্রমিকদের সেটুকুও হয়নি। একেবারে খালি হাতে অতোটুকুও আনন্দ করা যায় না। সেই জন্যই কবি নজরুল লিখেছিলেন, ‘হর রোজ যার রোজা’ তার ঘরে খুশীর ঈদের চাঁদ ওঠে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বকেয়া বেতন ও ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে বোনাস পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু ঈদ পার হয়ে গেলেও এক চতুর্থাংশ শ্রমিকের পুরো বেতন ও বোনাস দেয়া হয়নি। আর সোয়ান গার্মেন্টসের তো তিন মাস ধরে বেতন নেই। শ্রমমন্ত্রী বলেছেন, কারখানার মালিক মারা গেছেন, তাই বেতন দেয়া যাবে না। মালিক মারা গেলেও প্রতিষ্ঠান অক্ষত আছে। সরকারের দায়িত্ব শ্রমিকের রক্ত ঘাম দিয়ে অর্জিত বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা। তা না করে সরকার যা বলেছেন এবং যা করেছেন তা চরম দায়িত্বহীনতা ও শ্রমিক বিদ্বেষী মনোভাবের পরিচয় তুলে ধরে। অন্যদিকে শ্রমিকের ক্ষোভ যাতে বড় ধরনের বিক্ষোভে পরিণত না হয় সেদিকে সরকারের তীক্ষè নজর ছিল। তাই শ্রমিকের বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা না করে কমিউনিস্ট পার্টির অফিসের সামনে পুলিশ বসিয়েছিল। কারণ সিপিবি’র সাথে সংশ্লিষ্ট গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সোয়ান গার্মেন্টের শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে তাদের ন্যায্য দাবিতে অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করেছে। শ্রমিকের স্বার্থে যারা লড়াই করে সরকারের চোখে তারা বিপদজনক। তাই সরকারের ভয় কমিউনিস্ট পার্টিকে। ভয় বামপন্থীদের। এই ক্ষেত্রে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। কারণ শ্রমিক প্রশ্নে তারা উভয়েই এক জাতের। উভয় দলের সাধারণ শত্রু শ্রমিক। কথায় বলে ‘চোরে চোরে মাসতুত ভাই’। ধনীক শ্রেণি মূলত দুই ভাগ হয়ে দুইটি রাজনৈতিক দলে থাকলেও শ্রমিক দমন ও শোষণের ব্যাপারে তারা এক। অভিন্ন তাদের স্বার্থ। আর কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বুর্জোয়া দলগুলোর যে বিরোধ তা হল মৌলিক দ্বন্দ্ব।

যে কোনো পুঁজিবাদী দেশের মতো বাংলাদেশও দুই ভাগে বিভক্ত। আসলে দুইটা বাংলাদেশ বিরাজ করছে। একটা ধনীর বাংলাদেশ, আরেকটা গরিবের বাংলাদেশ। ঐ যে গার্মেন্টস শ্রমিক যারা অভূক্ত অবস্থায় ঈদ করেছে তারা হল গরিবের বাংলাদেশের অধিবাসী। অন্যদিকে তারাই ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ট। আর অল্প সংখ্যক অতিকায় ধনীদের নিয়ে গঠিত ধনীর বাংলাদেশ। কমিউনিস্ট পার্টি ও বামপন্থীরা দাঁড়ায় গরিবের বাংলাদেশের স্বার্থের সাথে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, ক্ষমতা বহির্ভূত বিএনপি ও তার সঙ্গী স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী জামাতÑতারা সবাই ধনীর বাংলাদেশকে আরো পুষ্ট করতে তৎপর।

সম্পতি বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। মাথা পিছু বাৎসরিক গড় আয় এক হাজার ৪৫ ডলার হলেই বিশ্বব্যাংকের বিবেচনায় মধ্যম আয়ের দেশ। কিন্তু দেশ তো দুটোÑ গরিবের দেশ আর বড় লোকের দেশ। বিশ্বব্যাংকের এই সার্টিফিকেটের মানে কি এই যে, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের অথবা অধিকাংশ নাগরিকের বাৎসরিক আয় ঐ সীমা অতিক্রম করে গেছে? না, তা মোটেও নয়। বাংলাদেশের সকলের মিলিত বাৎসরিক যা আয়, তা গড় করলে দাড়াচ্ছে এক হাজার ৩১৪ ডলার, অর্থাৎ বর্ডার লাইন অতিক্রম করেছে। কিন্তু সেটা তো গড় আয়। কিছু লোক অনেক বেশি বিত্তবান হয়েছে বলেই গড়টা বেড়ে গেছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ যে ঐ আয়ের অনেক নিচে বাস করে তা খালি চোখেই দেখা যায়। গার্মেন্টস শ্রমিকদের নি¤œতম মজুরীই তার বেশ নিচে।

বিশ্বব্যাংক এই সার্টিফিকেটের কিছুদিন আগ থেকেই সরকার উন্নয়নের অনেক ফিরিস্তি দিচ্ছিলেন। সঙ্গে অনেক বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার কাছ থেকেও পাওয়া গিয়েছিল প্রশংসাপত্রÑ বাংলাদেশে গণতন্ত্র না থাকলেও উন্নয়ন হচ্ছে। সেটাই বা কম কি? কিন্তু ঠিক সেই সময় খবর আসলো, আট হাজার নারী-পুরুষ-শিশু মাঝ সাগরে ভাসছে। মাটিতে পা রাখবে এমন দেশটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্ষুধা তৃষ্ণায় ভাসমান নৌকায় মানুষ মারা যাচ্ছে। এ যেন ইংরেজ কবি ফলরেজের সেই বিখ্যাত কবিতার সেই দুইটি লাইন “ডধঃবৎ, ধিঃবৎ বাবৎুযিবৎব, ঘড়ৎ ধহু ফৎড়ঢ় ঃড় ফৎরহশ.”।

পরে অনুসন্ধানী রিপোর্ট বের হলো। এ পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষ সামান্য চাকুরী অথবা একটু আয় রোজগারের সন্ধানে চরম ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পথে নৌকা যাত্রা করেছে, যার অনেকেরই পরিণতি হয়েছে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গণকবরে। এই খবর ফাঁস হওয়ায় বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল। সেটা দেশের এবং দেশের কর্ণধার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস্টিজে লেগেছিল। তিনি গোস্সা করে সমুদ্র পথযাত্রী ভাগ্যহতদের মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও মন্তব্য করেছিলেন।

যাই হোক, তার পরপরই বিশ্বব্যাংকের সার্টিফিকেট দেশের এবং প্রধানমন্ত্রীর হারানো প্রেস্টিজ ফিরিয়ে দিয়েছে। এ বড় সুখবর! হাজার হোক, গরিব কথাটা শুনতে বড় খারাপ লাগে। ভাবতে ভালো লাগছে, আমরা আর গরিব নই। বিশ্বব্যাংক বলেছে। অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, ‘এতে আমাদের আত্মগরিমা বেড়েছে।’

কিন্তু তারপরপরই আবার আরেকটা খবর ভিতরের চিত্রটি প্রকাশ করে দিল। ময়মনসিংহের এক ধনাঢ্য ব্যক্তি যাকাতের কাপড় বিতরণ করবেন গরিবের মধ্যে। গরিবরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল সেই যাকাতের লুঙ্গি-শাড়ি নিতে। পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছে ২৭ জন শিশু ও নারী। আবার প্রশ্ন উঠে এসেছে মধ্যম আয়ের দেশে কি এমন কাঙাল থাকতে পারে?

আসলে সেটাই সত্যÑ দুই বাংলাদেশ। গরিবের বাংলাদেশ, যেখানে যাকাতের কাপড় নিতে মানুষ মারা যায়। সামান্য চাকুরীর সন্ধানে অজানা সমুদ্র পথে হতভাগা বেকারের দল যাত্রা করে অথবা গার্মেন্টস শ্রমিকরা প্রেসক্লাবের সামনে ঈদ করে। অন্যদিকে, ধনীর বাংলাদেশে রয়েছে অতিকায় বিত্তশালী মানুষ, যারা ঈদের দিনে প্রোটিন সমৃদ্ধ ভুরিভোজই করে না, টাকার গরিমা দেখানোর জন্য ঢাক ঢোল পিটিয়ে যাকাতের কাপড় বিতরণ করে (ইসলামের বিধান অনুযায়ী যা গোপনে করা উচিত)। এরাই আবার অরেক ঈদে প্রতিযোগিতা করে লক্ষাধিক টাকায় কোরবানীর গরু ক্রয় করে। বস্তুত, এই ধনীক শ্রেণি এক কুৎসিত কালচারের জন্ম দিয়েছে।

এই ধনীর সংখ্যা কিন্তু বাড়ছে। সেই কারণে আমাদের মাথা পিছু গড় আয় বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেব মতে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল-মাত্র চার বছরের ব্যবধানে কোটিপতির সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২৩ হাজার ২১২ জন থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি। গত বছর নভেম্বরের তথ্য অনুযায়ী কোটি টাকার উপর দামী যে সব গাড়ী ইজঞঅ তে নিবন্ধিত হয়েছে তার সংখ্যা ৪৯ হাজার। এরাই ঢাকার রাস্তায় জানজট তৈরি করে।

তবু এই অতিকায় ধনীর সম্পদ ও আয় গড় হিসেবটা বাড়িয়ে দিয়েছে। গড় হিসেবটা আসলে কখনই সত্যিকারের চিত্র তুলে ধরে না, বরং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এখানে আরো বলা দরকার যে ধনীর আয়ের অনেক তথ্য কিন্তু হিসাবে আসছেনা। যেমন দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা, পাচার হওয়া টাকা ইত্যাদি। অর্থমন্ত্রী বলেছেন দেশের অর্থনীতির ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ কালো টাকার দখলে রয়েছে। আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যথেষ্ট স্পষ্টভাষী, যিনি দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলেছেন যে, তার দলের লোকজনের কারণেই ব্যাংকের টাকা মেরে দেয়া দুর্বৃত্তদের ধরতে পারছেন না। সেই সত্যবাদী মন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতি রোধ করা যায়নি বলে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার দুই থেকে তিন শতাংশ কমেছে। তাই ধনীদের সবার সব আয় হিসেবে আসে না। তাছাড়া বিদেশে পাচার হওয়া টাকা তো হিসেবের মধ্যে আসছে না। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গ্লোবাল ফাইনেনশিয়াল ইন্টিগ্রিটি (এঋও) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমানো টাকার পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ৮০ লাখ সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৪৫৪ কোটি টাকার সমান। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকসমূহের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশিদের জমানো টাকার পরিমাণ কত ছিল এবং প্রতি বছর কত বেড়েছে তার একটা হিসেব পাওয়া গেছে। ২০০৪ সালে এটা ছিল ৪ কোটি ১০ লাখ সুউস ফ্রাঁ। দশ বছরে চার থেকে পঞ্চাশ কোটিতে উত্তরণ ঘটেছে। দেশে ধনীর সংখ্যা ও তার বিত্তের পরিমাণ কি হারে বাড়ছে! একই সঙ্গে বিদেশে টাকা পাচারের পরিমাণও বেড়েছে। আহা! এই টাকাটা যোগ দিতে পারলে আমরা অনেক আগেই মধ্যম আয়ের দেশ বলে গর্ব করতে পারতাম।

এই অতিকায় ধনীরা মাথাপিছু গত আয়কে বাড়িয়ে দিলেও এরা যে সত্যিকারের উৎপাদনে অবদান রাখছে তা কিন্তু নয়। যারা আসলে উৎপাদন ও জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি করছে তারা গরিব বাংলাদেশের অধিবাসী। কিন্তু সেই সম্পদে ভাগ বসায় ধনীর বাংলাদেশের সোভাগ্যবানরা। প্রকৃত জাতীয় আয় বাড়িয়েছে তিনটি খাত ও তিন শ্রেণির মানুষ। প্রবাসী শ্রমিক যারা প্রায় দাসের মতো শ্রম দেয় মধ্যপ্রাচ্যে অথবা মালয়েশিয়ায়। বর্তমানে বাংলাদেশ যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে তার পরিমাণ হচ্ছে ২৫ বিলিয়ন ডলার। তার সিংহভাগ এনেছে প্রবাসী শ্রমিকরা যাদের পাঠানো বাৎসরিক রেমিটেন্স হচ্ছে ১৪ বিলিয়ন ডলার (এই বৎসরের পহেলা জানুয়ারীর হিসেব অনুযায়ী)। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখে যে ৪০ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক তাদের জীবনে আছে ঈদ করতে না পারার বেদনা, দৈনিক ১৭/১৮ ঘন্টা পরিশ্রম করার মতো যন্ত্রণা এবং প্রায়শ আগুনে পুড়ে মরার মতো ভাগ্য। বস্তুত, তারা হচ্ছেন আধুনিক শ্রম দাস। আর বড় অবদান রাখে যে কৃষক, প্রতি বছর কৃষিপণ্যের দাম না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তারা।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, আমরা মধ্যম আয়ের দেশ এই কথাটাই অর্থহীন। ধনী দরিদ্রের এত বৈষম্য থাকলে এই গড় হিসেবও একটা অর্থহীন সংখ্যামাত্র। বাংলাদেশে অতিকায় ধনীর সংখ্যা ও বিত্তের পরিমাণ বাড়লেও একই সঙ্গে বাড়ছে বৈষম্য। বৈষম্য বাড়া কমার যে অর্থনৈতিক পরিমাপক ঞড়ড়ষ আছে, যাকে বলে গিনি সহগ, তা যদি শূন্য দশমিক পাঁচের কাছাকাছি যায় তাহলে বুঝতে হবে এই বৈষম্য দ্রুত বাড়ছে এবং তা মারাত্মক হয়ে উঠেছে। ১৯৭২ সালে বৈষম্য এতটা ছিল না, তখন গিনি সহগ ছিল শূন্য দশমিক ৩২ আর এখন তা বিপজ্জনক বিন্দু ছুঁই ছুঁই করছে।

জাতীয় আয় বাড়ছে। কিন্তু তার সঙ্গে যদি ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য যদি এই হারে বাড়তে থাকে, তাহলে তা অর্থনীতির ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সামাজিক অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র কি সেই ইঙ্গিত দেয় না?

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৭, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.