ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে বিচার!
ঢাকা জার্নাল: হাতে-কলমে সাক্ষ্যগ্রহণের সনাতন পদ্ধতি যুগের ইতি টেনে ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি)।
এ ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে শিগগিরই প্রাথমিকভাবে সিলেটের ২০টি আদালতে পরীক্ষামূলকভাবে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউএনডিপি সূত্র।
সুপ্রিম কোর্টের সহযোগিতায় ইউএনডিপি’র অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জুডিশিয়াল স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট (জাস্ট)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা থেকে ৪০ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে সিলেটের ২০টি আদালতে এ প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সব আদালতে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য সনাতন পদ্ধতি হাতে লেখার পরিবর্তে অটো রেকর্ড হয়ে যাবে। ওই রেকর্ডকৃত বক্তব্য পরে লিখিত আকারে প্রিন্ট করে নেওয়া হবে। এতে সাক্ষীদের দীর্ঘ বক্তব্য বিচারকদের হাতে লিখতে হবে না এবং সাক্ষ্যগ্রহণে সময়ক্ষেপন হবে না।
এর মাধ্যমে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং জমে থাকা বিশাল মামলাজট কমে আসবে বলে জানান হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির ফয়েজ।
তিনি বলেন, ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে সহজেই সাক্ষীদের বক্তব্য রেকর্ডভুক্ত হবে। আদালতে এক কথা বলে পরে তা অস্বীকারও করতে পারবেন না সাক্ষীরা। এর ফলে বিচার কাজ ত্বরান্বিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে আদালতে প্রতিদিন কোন কোন মামলার শুনানি হবে, মামলাটি (শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহন, রায়) কিসের জন্য কার্যতালিকায় আছে, তা জানাতে সুপ্রিম কোর্টসহ ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও রাঙামাটি আদালতে একটি করে ওয়েবসাইট চালু করে জুডিশিয়াল স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট (জাস্ট)।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১, ২০১৫