ভোট বাতিলে ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যাবে
ঢাকা জার্নাল : চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে যে কোনো সংক্ষুব্ধ প্রার্থী পুরো ভোট বাতিলের জন্য মামলা করতে পারবেন। এজন্য নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বর্তমানে সেসব ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ করছে নির্বাচন কমিশন।
দুই দফায় প্রায় ১ হাজার ৩৫০টি ইউপির নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হয়েছে। এসব ইউপির নির্বাচনী ফলাফল যে কোনো প্রার্থীর মনঃপুত না হলে, তিনি ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. সামসুল আলম।ইতিমধ্যে ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. মহসিনুল হক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। এতে দেশের সকল জেলার প্রতিটিতে ১ জন করে সিনিয়র সহকারী জেলা জজকে নিয়ে ৬৪টি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
ইসির আইন শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ট্রাইব্যুনালে ইউপি নির্বাচনের সংক্ষুব্ধ প্রার্থী ফলাফল বাতিল চেয়ে নিজেকে জয়ী ঘোষণা, সামগ্রিকভাবে সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় নির্বাচন বাতিল এবং নির্দিষ্ট কোনো ভোটকেন্দ্রে পুনঃভোটের জন্য মামলা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল তা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সে নিষ্পত্তি নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে, আপিল ট্রাইব্যুনালেও যেতে পারবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, গত একমাস থেকে ইসিতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রার্থী অভিযোগ নিয়ে আসছেন। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠনের ফলে প্রার্থীদের আর ইসিতে আসতে হবে না। তারা নিজ নিজ জেলাতেই মামলা করে প্রতিকার চাইতে পারবেন।এতে তাদের সময় এবং অর্থ দু’দিক থেকেই অপচয় কমবে।
দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে ছয় ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। গত ২২ মার্চ প্রথম দফায় এবং ৩১ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফার এবং ৭ মে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। এরপর পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ৪ জুন ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ১৫, ২০১৬