সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

ভেঙে গেলো ‘সমকামী’ দুই বান্ধবীর সংসার

12 অবশেষে ভেঙে গেলো সমকামী সেই দুই বান্ধবী সাবিনা আকতার ও ইতি আকতারের (ইদ্রিস আলী) সংসার।
বুধবার রাতে সাবিনা আকতার তার স্বামী ইদ্রিস আলীকে তালাক দিয়ে ১০ মাসের সংসারের ইতি টেনেছেন।
তালাকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কাজী আব্দুল কাদের।
সাবিনা আকতার সোনাতলা উপজেলার দিঘলকান্দী গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে। আর তার বান্ধবী ইতি আকতার (পরবর্তীতে ইদ্রিস আলী) পার্শ্ববর্তী দিগদাইড় ইউনিয়নের কোয়ালীপাড়া গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, সুখানপুকুর সৈয়দ আহম্মদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী থাকা অবস্থায় গত বছর ইতি আকতার (১৯) নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছে বলে দাবি করেন। এরপর মাথার চুল কেটে পুরুষের পোশাক পরে বেড়ানো শুরু করেন। এসময় তার নামও পাল্টে রাখা হয় ইদ্রিস আলী। এ ঘটনার পরে তার ঘনিষ্ট বান্ধবী ও একই কলেজের ছাত্রী সাবিনা আকতারকে (১৯) বিয়ের প্রস্তাব দেন। গেল ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় মুলবাড়ি ঈদগাহ মাঠের ঈমাম ও ফাজিলপুর গ্রামের মাওলানা আবু মুসার বাড়িতে দু’পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ইদ্রিস আর সাবিনার বিয়ে পড়ানো হয়। এক লাখ টাকা দেন মোহরানায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
১০ মাসের সংসারের ইতি টানার পক্ষে সাবিনা আকতারের যুক্তি, বিয়ের পর প্রথম রাতেই স্বামী ইদ্রিস আলী তাকে জানিয়েছিল, সে এখনও পূর্ণাঙ্গ পুরুষে রূপান্তরিত হয়নি। সে কারণে তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচ বছর দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। সাবিনা আরো বলেন, ‘এভাবে কিছুদিন চলার পরে সন্দেহ হলে জোর করে স্বামীকে দেখি সে এখনও নারীই থেকে গেছে।’
সাবিনার অভিযোগ, তার স্বামী ইতি আকতার (ইদ্রিস আলী) কখনই পুরুষে রূপান্তরিত হয়নি। সে আগে যা ছিল এখনও তাই আছে। প্রতারণার মাধ্যমে সে বিয়ে করেছে। সাবিনা জানান, তার স্বামী পুরুষ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে ও প্রতারণার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু গত এক মাসেও কোনো সুরাহা হয়নি।
সাবিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এক নারী হয়ে তো অন্য নারীর সঙ্গে সংসার করা যায় না। এ কারণে তাকে তালাক দিয়েছি।’
এব্যাপারে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিবগঞ্জ ইউএনও আমিনুর রহমান জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। সোনাতলার ইউএনও দেশে ফিরলে জানা যাবে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.