শিক্ষা-সংস্কৃতি

ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ ও গুজব সৃষ্টির অভিযোগে ১০ জন আটক

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ ও গুজব সৃষ্টির অভিযোগে ১০ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাদারীপুরে দুই নারী পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সময়ে পরীক্ষা ভণ্ডুলের অভিযোগে লালমনিরহাটে ১৮ পরীক্ষার্থীকে আটক করতে গেলে তারা ‘পালিয়ে গিয়েছে’ বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) পরীক্ষার পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালিয়ে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহের চেষ্টা করাকালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় ১০ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। আর লালমনিরহাট আদর্শ মহাবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করায় ১৮ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করতে গেল তারা পালিয়ে যান। এসব পরীক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল দাবিকারী।

তিনি জানান, তারা আগের পরীক্ষার পর প্যানেলের দাবি তোলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে না দেওয়া। তাদের মধ্যে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। কেন্দ্রের অন্য প্রার্থীরা স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা দিতে পেরেছে।

অন্যদিকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কারণে মাদারীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চর মোহরিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই পরীক্ষার্থীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বলে জানান আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম।

প্রথম ধাপের এ পরীক্ষায় দেশের ২২ জেলায় সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানায়, সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (২০২০) প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ২২টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে ৩০ জেলায় এবং ৩ জুন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩১টি জেলায়। পার্বত্য তিন জেলা ছাড়া মোট ৬১ জেলার প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরই মধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। শিক্ষক ঘাটতি মেটাতে সর্বশেষ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শূন্যপদে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।