স্পটলাইট

ভিকটিমকে ‘দুশ্চরিত্রা’ বলার ধারা বাতিল হচ্ছে

‘যৌন অপরাধের অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা’, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের এমন বিধান বাতিলে আইন মন্ত্রণালয় একটি সংশোধনীর খসড়া তৈরি করেছে। ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারা বাতিল চেয়ে করা রিট শুনানিতে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এ তথ্য দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও সারা হোসেন। তাদের সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শারমিন আক্তার শিউলী ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ও নারীপক্ষ এ রিট করে।

আবেদনে ১৯৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ও ১৪৬(৩) ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল করা হবে না সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

সারা হোসেন বলেন, এ ধারাগুলোতে বলা আছে একজন নারী যদি যৌন অপরাধের অভিযোগকারী হয় তাহলে আদালতে তার চরিত্র এবং ইতিহাস নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা যায় ও জেরা করা যায়। অনেক দিন ধরে এগুলো বাতিলে আন্দোলন হয়েছে, এখন হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি।

১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারা অনুসারে কোনো লোক যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা।

জেরায় প্রশ্ন করা নিয়ে ১৪৬ (৩) এ বলা হয়েছে, তাহার চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাস যোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এ রূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও অপরাধের সহিত জড়িত হতে পারে, কিংবা সে দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারে, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে।

পরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মূলতবি করেন।