শিক্ষা-সংস্কৃতি

ভারপ্রাপ্ত এক জনকে সরিয়ে উইলস লিটলে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ

জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে অধ্যক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগের মধ্যেই রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন শিক্ষককে। প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক আ ন ম সামসুল আলমকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়।  বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার জেলা প্রশাসক এ আদেশে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব ওয়া হয়।

সম্প্রতি গত ৯ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেনকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগে গত ১০ নভেম্বর রমনা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। এই অভিযোগের আট দিনের মাথায় প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের আদেশে জানানো হয়, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গত ৯ নভেম্বর পদত্যাগ করায় পদটি শূন্য হয়। সে প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কলেজ শাখার এমপিও শিটের জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব দায়িত্ব দেওয়ার জন্য জেলা শিখ্ষা অফিসারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। এর র প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক আ ন ম সামসুল আলমকে নির্বাচন করে প্রতিবেদন পাঠান জেলা শিক্ষা অফিসার। এমতাবস্থায় ওই শিক্ষককে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর রাতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করা মো. আবুল হোসেনের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরদিন ১০ নভেম্বর রমনা মডেল থানায় এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং জোর করে পতত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন  মো.আবুল হোসেন।

মো. আবুল হোসেন বলেন, গত ৯ নভেম্বর আমার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্র লিখে নেওয়া হয়। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই সময় আমাকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চাপলানো হচ্ছিল। কমিটি না থাকলেও অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী একজন শিক্ষকসহ কয়েকজন এই কাজ করছেন।