Leadসংবাদ শিরোনাম

ভারতের সাথেও সমুদ্রসীমা মামলা জিতে অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে বাংলাদেশ

hasina.jpg-4NMঢাকা জার্নাল: সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  “বাংলাদেশের মানুষ ভাল থাকলেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এদেশের মানুষ কিছু পেয়েছে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ভারতের সাথেও সমুদ্রসীমা মামলা জিতে অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। একটি উন্নত জাতি হিসেবে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি পালন করবে।”
রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “ অনেকের ধারণা ছিল ৭৫’র পর আর আওয়ামী লীগ দাঁড়াতে পাারবেনা। কিন্তু আওয়ামী লীগ দাঁড়াতে পেরেছে। দেশকে খাদ্যে সংয়ং সম্পূর্ণ করতে পেরেছে। গণতন্ত্র পূন:প্রতিষ্ঠা করেছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫’র পর আমাকে দেশে ফিরে আসতে দেননি জিয়াউর রহমান। বাড়িতে ঢুকে মিলাদ পড়তেও দেননি। ৮১’ সালে আওয়ামী লীগ যখন আমাকে সভাপতি করে তখন তখন আমি ফিরে এসছি। অনেক বাধা অত্রিক্রম করে আমি দেশে ফিরে এসেছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। হণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। আওয়ামী লীগই পারে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। বাংলাদেশের মানুষ প্রথম জানল আওয়ামী লীগ মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে। বাঙ্গলী সম্মান অর্জন করতে পারে তা মানুষ প্রথম জানলো।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিন্তু সব অর্জন ধ্বংস হয়ে গেল ২০০১ সালের পর। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত নিয়ে যখন ক্ষতায় আসলো যে নির্যাতন শুরু হয়েছিল। সেই নির্যাতনগুলো যদি এখনও দেখি একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে, যে প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল, ঠিক সেইভাবে মেয়েদেরকে গ্যাংরেপ করা, মানুষকে হত্যা করা, আওমী লীগ নেতা কর্মীদের হত্যাকরা, পঙ্গু করা চোখ তুলে নেওয়া সব একই রকম। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত হত্যা নির্যাতন চলে। জনগণের ােটের অধিকারই ছিল না। জনগণ যে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে সে ক্ষমতাই ছিল না।”
সংসদ নেতা বলেন, “আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণ আবার তাদের ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। দেশের সংবিধান মার্শল-ল অর্ডিনেন্সের মঅধ্যমে পরিবর্তণ করা হয়েছিল। আমরা আবার সংবিধান সংশোধন করে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করেছি।”
তিনি বলেন, “জাতির পিতার হত্যার বিচার না করে ইনডেমিনিটি দিয়েছিল। তারা বলেছিল কেউ নাকি চিার করতে পারবে না। আমরা তা করতে পেরেছি। যুদ্ধাপারীদের বিচারও ৭৫’র পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আবার সেই বিচারের কাজ শুরু করেছি। তাদের বিচারের রায় কার্যকর হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এদেশের মানুষ কিছু পেয়েছে। ভাষার অধিকার, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। যতরকম সমস্যা ছিল, আমরা করেছি। ভারতের সাথে যত চুক্তি আমরা করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধান চুক্তি করেছি।”
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “২৪ বছরের সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন এবং অবদান রেখেছেন তাদের সবাইকে স্মরণ করছি। তাদের ত্যাগ তিতীক্ষার মধ্য দিয়ে আজও আওয়ামী লীগ টিকে আছে।”
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৩
এসএম/এসএমএ/জেডএম

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.