ভয়াবহ বিস্ফোরণে তুরস্কে নিহত ৪০
তুরস্কের বেসরকারী টেলিভিশন এনটিভি জানিয়েছে, শনিবার তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশের সিরীয় সীমান্তবর্তী রেইহানলি এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ পর্যন্ত কোন সংগঠনই এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে তুরস্কের একজন মন্ত্রী দাবি করেছেন, এ ঘটনার সাথে সিরিয়ার সম্পৃক্ততা রয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে আনাতোলিয়া নিউজ এজেন্সি জানায়, শনিবার বিকেলে রেইহানলি নগর ভবন ও পোস্ট অফিসের কাছে বিস্ফোরকভর্তি দুটি গাড়ি ঢুকে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুয়াম্মার গুলের বলেন, “ওই গাড়িগুলো থেকে পরপর বেশ কয়েকটি মারাত্মক বোমা বিস্ফোরণ হয়।”
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোর সাথে সিরিয়ার মূল সরবরাহ রুট বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণার পরই এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
লন্ডন ভিত্তিক সিরিয়ান ওবসার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আবদুল রাহমান বলেন, “বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সরকারী বাহিনী। আলেপ্পোর সাথে সংযোগকারী হামা সড়ক খুলে দিতে শাসক বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার সিরীয় বিদ্রোহীরা ডেসার্ট রোডের সাথে যুক্ত হামা রোডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কারণ এ রুট দিয়েই আসাদ বাহিনী আলেপ্পোয় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জমাদি সরবরাহ করে আসছিল। আসাদ বাহিনীর কাছে এটি ছিল আলেপ্পোর সাথে মূল সংযোগকারী সড়ক।
এদিকে, রেইহানলি সীমান্ত দিয়ে যুদ্ধকবলিত সিরিয়া থেকে হাজার হাজার মানুষ তুরস্কে ঢুকছে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের ফলে ক্রমাগত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী দেশ তুরস্কে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনাও ঘটে। গত ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়া থেকে ছোঁড়া মর্টার তুরস্কের সীমান্ত ফটকে আঘাত করলে ১৩ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়।
সিরিয়ার সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের পক্ষ থেকে বারবার দাবি তোলা হচ্ছে। দেশটি সিরিয়ার বিরোধী জোটের প্রধান সমর্থক। এছাড়া তুরস্ক সিরিয়ার বিদ্রোহী এবং শরণার্থীদের তার সীমান্তে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে।