আইন-আদালতসংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

ব্লগার রাজীব হত্যায় ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের সাক্ষ্যগ্রহণ

06ঢাকা: ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান নূরের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (১৫ নভেম্বর) তিনি ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসাদুজ্জামান নূর আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছিলেন।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সোমবার (১৬ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন।

এ নিয়ে মামলার ৫৫ সাক্ষীর মধ্যে রাজীবের ছোট ভাই স্থপতি নেওয়াজ মর্তুজা হায়দারসহ ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানি, ঢাকার খিলক্ষেত চৌধুরীপাড়ার মো. ফয়সাল বিন নাঈম দীপ (২২), ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রামের মো. এহসান রেজা রুম্মান (২৩), ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বর গ্রামের মাকসুদুল হাসান অনিক (২৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কলেজপাড়ার নাঈম ইরাদ (১৯), চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া গ্রামের নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), ঢাকার কলাবাগান থানার ভুতের গলির সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০) ও ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার জয়লস্করের রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।

জসীমউদ্দিন রাহমানি ছাড়া সবাই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পলাতক রানাকে রাজীব হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাত ছাত্রসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নিবারন চন্দ্র বর্মণ।

মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানিকে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে একই বছরের ২০ আগস্ট ও বাকিদের ১০ মার্চ গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়ার পর ২০১৩ সালের ১০ মার্চ রাজীব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ৫ ছাত্র ফয়সাল বিন নাঈম দীপ,  এহসান রেজা রুম্মান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজ ঢাকার সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় স্থপতি রাজীব হায়দারকে।  এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন ঢাকার পল্লবী থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

গত ১৮ মার্চ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাত ছাত্রসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। এরপর থেকেই আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন ট্রাইব্যুনাল।

নভেম্বর ১৫, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.