বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করতে হবে
ঢাকা: দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. কৌশিক বসু। আর্থিক খাতের সঙ্গে যত বেশি দরিদ্র মানুষকে সংযোগ করা যাবে বেসরকারি খাত তত বেশি শক্তিশালী হবে বলেও জানান এ অর্থনীতিবিদ।
সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইউএনডেসা আয়োজিত ‘ম্যাক্রোইকোনোমিক স্ট্যাবিলিটি, প্রাইভেট সেক্টর ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ইকোনোমিক গ্রোথ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কৌশিক বসু বলেন, একটি দেশের সরকার দরিদ্র মানুষের কাছে যদি খাবার পৌঁছাতে যায় তবে সেখানে অনেক গ্যাপ থেকে যায়, অনেক খাবারের অপচয় হয়। সেখানে খাবার না দিয়ে যদি গরিব ও প্রান্তিক মানুষগুলোর কাছে টাকা পৌঁছানো যায় অর্থাৎ মানুষগুলোকে আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায় তবে অনেক লাভ হয়। কারণ, তাদের হাতে যখন টাকা থাকবে তখন তাদের নিজস্ব প্রছন্দ প্রাধান্য পাবে। তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তারা পছন্দমত জায়গায় তা ব্যয় করতে পারবে। আর তাদের চাহিদা মেটাতে অনেক নতুন নতুন বেসরকারি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। ঠিক এ সময়টাতেই সে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসবে।
বাংলাদেশে গরিব ও প্রান্তিক মানুষগুলোকে আর্থিক খাতে অন্তর্ভুক্তিতে বেশ কিছু কাজ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গরিব মানুষের আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা উল্লেখ করার মত। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ও মোবাইল ব্যাংকিং। এগুলোর কারণে মানুষের টাকার ব্যবহার বেড়েছে ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব বিষয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অনুসরণীয় উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি শিক্ষনীয় কীভাবে তারা দারিদ্র্য দূর করছে এবং মানুষকে আর্থিক খাতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি পুরোপুরি প্রস্তুত ‘টেক অফ’ করার জন্য। খুব কম দেশই রয়েছে যাদের অর্থনীতি এভাবে উঠতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বিগত ১০ বছর ধরেই ৬ এর ঘরে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি এবার ৭ শতাংশে গিয়ে পৌঁছাবে। এছাড়া বিনিয়োগের জন্য এদেশ একটি চমকপ্রদ জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশিরা এখানে সস্তা শ্রমে উৎপাদনমুখী খাত, অবকাঠামোগত খাত, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউএনডেসার বিশ্ব অর্থনীতি মনিটরিং বিভাগের প্রধান ড. হামিদ রশিদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম ও প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপাক্ষ পাল