Lead

বিস্ফোরণ ৪ দিনে প্রাণ গেল ৩৫ জনের

চার দিনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের পাঁচটি বিস্ফোরণে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার (৪ মার্চ) থেকে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) পর্যন্ত এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই রাতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা ও ২ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে রোববার রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে একটি ভবনে বিস্ফোরণে তিনজন মারা যান। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গত শনিবার সীতাকুণ্ডে কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত হন সাতজন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ওইদিন ভোরে রাজধানীর গুলশানে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ হন দুজন। তাদের মধ্যে গোপাল মল্লিক নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত চার দিনে পাঁচটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। এসব ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।

এর আগেও অনেক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। ওই বিস্ফোরণে আশপাশের অনেক ভবন কেঁপে ওঠে। গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয় বলে তদন্তসংশ্লিষ্টদের ভাষ্য। এর আগে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে নারায়ণগঞ্জে। ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে ইমামসহ ৩১ জন প্রাণ হারান।

গত ২ ফেব্রুয়ারি ভাটারায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। গত ডিসেম্বরে মিরপুরে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে আরিয়ান নামে ১৪ বছরের এক কিশোর মারা যায়। ১২ জানুয়ারি সাভারে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয়ে সাদিয়া নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ব্রয়লার মুরগির খামারে বায়োগ্যাসের ট্যাংক বিস্ফোরণে জুবায়ের নামে এক যুবক নিহত হন। ১৮ অক্টোবর যশোরের অভয়নগরে সেমি অটো রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত হন। ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগের বউবাজার এলাকায় মেট্রো এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিস ডিপোতে কেমিক্যাল বিস্ফোরণে একজন নিহত হন। ৭ আগস্ট রাজধানীর তুরাগ থানার রাজাবাড়ী এলাকায় রিকশার গ্যারেজে কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. আলম নামে একজন মারা যান। ১৫ অক্টোবর রাজধানীর শ্যামপুরের জুরাইন কবরস্থান রোডে তিতাস গ্যাসের লাইনে কাজ করার সময় বিস্ফোরণে পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হন। ১১ অক্টোবর পাবনার ঈশ্বরদীতে সড়ক কার্পেটিংয়ের সময় বিটুমিনের ড্রাম বিস্ফোরণে তিন শ্রমিক দগ্ধ হন।

চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে আটজন আহত হন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরখানের রাজাবাড়ী এলাকায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হন। ২৫ অক্টোবর মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় গ্যাসের লাইন চালু থাকায় দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন দগ্ধ হন।