সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

12দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসলমানের অংশগ্রহণে টঙ্গীর তুরাগতীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এবারও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এ আয়োজন শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমানের বয়ানের মধ্য শুরু হয় তাবলীগ জামাতের এই বিশ্ব সম্মিলনের আনুষ্ঠানিকতা। বাংলাদেশের মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন সেই বয়ান বাংলায় তর্জমা করে শোনান। ইজতেমায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার থেকেই তাবলিগ জামাতের সদস্যরা মালামালসহ তুরাগ তীরে আসতে শুরু করেন। শুক্রবার সকালে লাখ লাখ মুসলমানের ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে টঙ্গী পরিণত হয় ধর্মীয় উৎসবের নগরীতে। শুক্রবার এই ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজে অংশ নেবেন কয়েক লাখ মুসলমান। নামাজ পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের ক্বারী মো. জুবায়ের। ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগ মারকাজের শুরা সদস্যরা এই সম্মিলনে বয়ান করবেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও তা তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফার্সিসহ বিভিন্ন ভাষায় তর্জমা করে শোনানো হয়।

“ইজতেমায় আসা বিভিন্ন ভাষার মানুষ আলাদাভাবে বসেন। তাদের মধ্যে একজন করে মুরুব্বি মূল বয়ান অনুবাদ করে শোনান।” ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছিল। এবার থেকে দুই বছরে চার পর্বে দেশের ৬৪ জেলার তাবলিগ সদস্যদের জন্য ইজতেমায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি থেকে প্রথম দফার ইজতেমায় অংশ নেন ১৭টি জেলার মুসলমানরা। ১০ জানুয়ারি শেষ হয় সেই পর্ব। আর শুক্রবার শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্বে ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলার মুসলমানরা অংশ নিচ্ছেন। রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এ বছরের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বও শেষ হবে। এর বাইরে দেশের বাকি ৩২টি জেলার মানুষ আগামী বছর দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নেবেন। ইজতেমা প্রাঙ্গণে প্রতিবারের মতই তাবলিগের সদস্যদের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ১৬টি জেলার তাবলিগ সদস্যরা এবার ২৯টি স্থানে বিভক্ত হয়ে সম্মিলনের এই তিনদিন অবস্থান করবেন। এই নির্দিষ্ট এলাকাকে বলা হয়  খিত্তা।

১ থেকে ৭ নম্বর খিত্তায় ঢাকা জেলার অংশবিশেষ, ৮ নম্বর খিত্তায় ঝিনাইদহ, ৯ ও ১১ নম্বর খিত্তায় জামালপুর, ১০ নম্বর খিত্তায় ফরিদপুর, ১২ ও ১৩ নম্বর খিত্তায় নেত্রকাণা, ১৪ ও ১৫ নম্বর খিত্তায় নরসিংদী, ১৬ ও ১৮ নম্বর খিত্তায় কুমিল্লা, ১৭ নম্বর খিত্তায় কুড়িগ্রাম, ১৯ ও ২০ নম্বর খিত্তায় রাজশাহী, ২১ নম্বর খিত্তায় ফেনী, ২২ নম্বর খিত্তায় ঠাকুরগাঁও, ২৩ নম্বর খিত্তায় সুনামগঞ্জ, ২৪ ও ২৫ নম্বর খিত্তায় বগুড়া, ২৬ ও ২৭ নম্বর খিত্তায় খুলনা, ২৮ নম্বর খিত্তায় চুয়াডাঙ্গা এবং ২৯ নম্বর খিত্তায় পিরোজপুর জেলা থেকে আসা তাবলিগ সদস্যরা অবস্থান করবেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.