বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ১০ সেলফি
ঢাকা জার্নাল : সেলফি বর্তমান সময়ে একটি বহুল চর্চিত বিষয়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর ব্যবহারকারীদের সেলফি তোলাটা বলা যায় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল প্লাস খুললেই দেখা যায় নানা ধরনের সেলফি। যে যখন যে অবস্থায় থাকেন, সেই অবস্থায় সেলফি তুলে দেখা যায় শেয়ার করতে।
কিন্তু বর্তমানে যে সেলফি জোয়ারে ভাসছে বিশ্ব, তা শুরু হয়েছিল পনেরো শতাব্দির মাঝামাঝি সময় থেকে। তখন মানুষ সেলফ পোট্রেট তোলা শুরু করেছিল, যা আজকে সেলফিতে রূপ নিয়েছে। উনিশ শতকে এক ফটোগ্রাফারের তোলা সেলফিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের প্রথম সেলফি হিসেবে গণ্য করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্কুপহুপ সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ১০ সেলফি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জেনে নিন, সবচেয়ে পুরোনো ১০ সেলফি।
এটি বিশ্বের প্রথম সেলফি হিসেবে স্বীকৃত। ১৮৩৯ সালে দাগুয়েরোটাইপ পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশ্বে প্রথম নিজের সেলফ পোট্রেট তুলেছিলেন রবার্ট কর্নেলিয়াস।
আরেকটি সেলফি, যা ১৯০৯ সালে তুলেছিলেন ইংরেজ ফটোগ্রাফার জোসেফ বায়রন।
ফটোসাংবাদিক টেরি ফিঞ্চার ১৯৬৬ সালে প্যারাস্যুট ডাইভ করার সময় সেলফিটি তুলেছিলেন জুতার মধ্যে ফিশ-আই লেন্স ব্যবহার করে।
মিরর সেলফির সবচেয়ে পুরোনো উদাহরণ, ১৯৪৯ সালে পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক এটি তুলেছিলেন।
ইংরেজি ফটোগ্রাফার টনি রে-জোনস ১৯৬৫ সালে এই সেলফি তুলেছিলেন।
১৯৬০ সালের দিকে সাংবাদিক হান্টার এস থম্পসন তিজুয়ানা যাওয়ার পথে সেলফিটি তুলেন।
১৯৬৬ সালে জেমিনি ১২ মিশনে সেলফিটি তুলেন বাজ অলড্রিন।
পৃথিবীর বাইরের আরেকটি দারুন সেলফি যা ১৯৬৯ সালে চাঁদের মাটিতে তুলেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং।
১৯১৪ সালে রাশিয়ান গ্রান্ড ডাচেস অ্যানেসটেইজা নিকোলাভনার সেলফি।
এই সেলফিটির মাধ্যমেই নিজেকে সেলফির আবিষ্কর্তা বলে দাবি করতেন পল ম্যাককার্টনি। যদিও পরে বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ করেছেন যে, ম্যাককার্টিনির আগে থেকেই শুরু হয়েছিল সেলফি যুগ।
ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৬।