বিডিআর বিদ্রোহে খালেদা-তারেকের ষড়যন্ত্রের বিচার হবে : প্রধানমন্ত্রী
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান জড়িত ছিল দাবি করে ষড়যন্ত্রের বিচার করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় বিএনপিনেত্রী প্রায়ই বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলাম। দুই মাসের মধ্যে শুধু পিলখানায় নয়; সমগ্র বাংলাদেশে সেই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। আমরা মাত্র দুই দিনে কন্ট্রোল করি। নতুন সেই সরকার কেন একটা বাহিনীতে বিদ্রোহ ঘটাবে- এমন প্রশ্ন রেখে খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তখন ক্যান্টনমেন্টের বাসায় থাকতেন। বিডিআর বিদ্রোহ ৯টার দিকে শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৭-৮টার মধ্যে কেন বাসা থেকে বের হয়ে উনি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেলেন? এর জবাব জনগণকে দিতে হবে। বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে ফোন করেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, তার পুত্র লন্ডন সময় রাত ১-২টার মধ্যে ৪৫ বার ফোন করে তার মাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে। কেন তার মাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে? তারও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। ২০০৯ সালের ফ্রেব্রুয়ারির ওই বিদ্রোহে নিহত ৫৭ জন সেনা অফিসারের মধ্যে ৩৩ জনই আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান- একথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদেরকে কেন সেখানে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল- সেটাও একটা প্রশ্ন। আমরা তখন মাত্র দুই মাস ক্ষমতায়। হাইকোর্টে এই হত্যামামলার বিচার চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্রের মূলোৎপাটন একদিন করব।