বিচারের অভাবে অস্তিত্ব সঙ্কটে সংখ্যালঘুরা
ঢাকা: বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘আজও দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কোনো বিচার হয়নি। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি সংখ্যালঘুরা। সবক্ষেত্রেই তাদের স্বার্থ ও অধিকার আজও বিপন্ন।’ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা তখন থেকেই চেয়েছিল এদেশ থেকে সংখ্যালঘুদের বিতাড়িত করতে। যে শক্তি দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চায় তারা আজও পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালিয়ে তাদের দেশছাড়া করতে বাধ্য করছে।’
বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর থেকে সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগ শুরু যা আজও অব্যাহত আছে মন্তব্য করে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে সংখ্যালঘুদের কেবল তাদের ভোটার হিসেবে বিবেচনা করা ছাড়া সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সংখ্যালঘুদের রক্ষার কোনো উদ্যোগ আমরা দেখছি না।
তিনি বলেন, ‘দেশে এ ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে সংখ্যালঘুশূন্য হয়ে যেতে আর মাত্র কয়েক বছর লাগবে। এদেশের বৈচিত্র্যের সংস্কৃতি, গণতন্ত্র রক্ষা পাবে যদি সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সরকার আজ ক্ষমতায়। সংখ্যালঘুদের রক্ষায় রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই। না হলে এ ব্যর্থতার ভার সরকারেকেই নিতে হবে।’
সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রত্যয় এবং সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার তাগিদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আগামী ৪ ডিসেম্বর দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সব সংগঠনকে সমন্বিত করে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসী মহাসমাবেশ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল দেবনাথ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাপস পাল প্রমুখ।