Leadসব সংবাদ

বাসায় পৌঁছালেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার পর বাসায় ফিরেছেন তিনি। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৫টা ১৬তে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের বাসভবন ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন। এসময় করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করেই বাড়ির বাইরে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা এবং দলের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও কেউ তা পরোয়া করেনি।

গাড়ি তার বাসার প্রাঙ্গণে পৌঁছানো মাত্রই সেখানে উপস্থিত তার চিকিৎসক, পরিবারের কয়েকজন সদস্য, বোন সেলিমা ইসলাম, দলের সিনিয়র কয়েকজননেতা তাকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর তাকে হুইল চেয়ারে করে গাড়ি থেকে বের করা হয়।

বাসার ভেতরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমানসহ অনেকে রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সবার হাতেমুখে সুরক্ষাবস্তু থাকলেও বাইরে ছিলো নেতাকর্মীদের উপেক্ষা। চলছিল স্লোগানও। বাড়ির সামনে বুধবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের অবস্থান বাড়তে থাকে। বিকালে খালেদা জিয়া যখন বাড়িতে প্রবেশ করেন, ওই সময় করোনাভীতি উপেক্ষা করে সহস্রাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেয় গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডে।

এরআগে বুধবার (২৫ মার্চ) বিকাল সোয়া চারটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে বেরিয়ে আসেন খালেদা জিয়া। এদিন সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে বিকাল তিনটার কিছু পর তাকে মুক্ত করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর কারওয়ানবাজার মোড় হয়ে ফার্মগেট হয়ে মহাখালী ফ্লাইওভার হয়ে গুলশানের দিকে যায় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মঙ্গলবার দলীয় প্রধানের বাসভবন ধোয়ামোছার কাজ শেষ করা হয়। ইতোমধ্যে তার বাসায় পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কারাগারে যাওয়ার আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ফিরোজা থেকেই আদালতের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ওঠেন তিনি। এই বাড়িটি বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর কামরুল ইসলামের ছেলে তানভীর ইসলামের। বাড়িটিতে প্রায় সাতটি বেডরুম, লিভিং রুম, একটি সবুজ লন, বাগানসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আছে।

ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল হোসেন রোডের বাড়িটি আদালতের রায়ে হারানোর পর কিছুদিন খালেদা জিয়া তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাড়িতে ছিলেন। এরপর ফিরোজায় বসবাস শুরু করেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এই বাড়ি থেকেই পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে এসেছিলেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে সাজা হওয়ায় সেখান থেকে সরাসরি তাকে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।