বাগেরহাটের পুলিশের গুলিতে দুই হেফাজত কর্মী নিহত
ঢাকা জার্নাল: ঢাকায় হেফাজতের সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনার পর বাগেরহাটের মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সোমবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছেন। পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
নিহতরা হলেন মতি উদ্দিন শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম মেঝে (৩৯)।
আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
তবে হেফাজত নেতারা দুজন নিহতের দাবি করলেও পুলিশ একজন গুলিতে মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে।
আহতদের ফকিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বাগেরহাট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাত ১০টা থেকে খুলনা-মংলা মহাসড়কের কাটাখালী, শ্যামবাগাত, শুকদাড়া মোড়, চুলকাঠি ও খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের কাঠালতলা এলাকায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হেফাজত কর্মীরা জানান, স্থানীয় লকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন এক হেফাজত কর্মীকে ধরে মারপিট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে হেফাজত কর্মীরা ভাঙচুর করে বাগেরহাট সি ফুড নামের একটি চিংড়ি মাছের প্রক্রিয়াজাত করণ কারখানা, ১৬টি দোকান ও অর্ধশতাধিক যানবাহন।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, রোববার রাত থেকে হেফাজত কর্মীরা বাগেরহাটের কাটাখালী জিরো পয়েন্টে, চুলকাঠি বাজার ও শুকদাড়া এলাকায় মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেট দিয়ে অবস্থান নেয়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলাকালে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় পুলিশ ফকিরহাটের নওয়াপাড়া এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার পংকজ কুমার রায় জানান, অবরোধের ব্যারিকেট তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দাফায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময়ে অন্তত ৩০ পুলিশ, এক সাংবাদিক ও কয়েকজন হেফাজত কর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ অবরোধ তুলতে ও নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।