‘বাংলাদেশিদের হৃদয়ে পাকিস্তানিদের বিষাক্ত তীর ছুঁড়ছেন বেগম জিয়া’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করে বাংলাদেশিদের হৃদয়ে পাকিস্তানিদের বিষাক্ত তীর ছুঁড়ছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে তাদের অপরাধের বিচারের ন্যায্যতা অস্বীকার করে তিনি পাকিস্তানিদের মনজয়ের চেষ্টা করছেন।’ বেগম জিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্য সম্পর্কে আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে আর খাপ খাচ্ছেন না। নাশকতা-অন্তর্ঘাত আর আগুন সন্ত্রাস করে পাকিস্তানের প্রকাশ্য দালালে পরিণত হয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতি করার অধিকার হারিয়ে ফেলছেন।
ক্রমান্বয়ে ঘোমটা ফেলে রাখ ঢাক না রেখেই তার পাকিস্তান প্রীতি প্রকাশ করছেন। পাকিস্তানীদের মতোই মিথ্যাচার, গণহত্যাকে অস্বীকার করছেন।’ পৌর নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য বেগম জিয়ার দাবি সম্পর্কে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘নির্বাচনে হারলে নির্বাচন খারাপ আর জিতলে ভালো- এ নীতিতে বিশ্বাসী খালেদা জিয়া অতীতের সংসদ নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর তার ফল মেনে নেননি, তার মুখে এ দাবি অবান্তর।’ বাংলাদেশের বিষয়ে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও তাদের ঢাকার দূতাবাস থেকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজের জন্য কর্মকর্তাদের নির্গমনের কারণে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের বিচারের বিষয়ে পাকিস্তানী মন্তব্যে এটাই প্রমাণ হয় যে, একাত্তরের গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তান এখনো দুঃখিত বা ক্ষমাপ্রার্থী নয়। ঢাকার দূতাবাস থেকে জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগ রয়েছে, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী।
এ অবস্থায় পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। এর আগে রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ৩৩তম বিসিএস তথ্য প্রবেশক পাঠ্যধারার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী নবনিযুক্ত ও প্রশিক্ষিত অফিসারদের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে জাতির মৌলিক সত্ত্বার বিষয়ে ঐক্যমত বজায় রাখার আহ্বান জানান। হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে শুধু উন্নয়নচিত্র নয়, জনগণের সমস্যা, প্রশাসনে অনিয়ম সম্পর্কেও তুলে ধরে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে হবে।’ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক একেএম শামীম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। এসময় তথ্যমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।