ফতোয়া দিয়ে উল্লাপাড়ায় গৃহবধূর হিল্লা বিয়ে
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়ভৈরব গ্রামে (রুমা খাতুন (২০) নামের) এক গৃহবধুর হিল্লা বিয়ে হয়েছে। গত বুধবার (২ আগস্ট) রাতে এরশাদ আলীর স্ত্রী রুমা খাতুনের বিয়ে দেওয়া হয় এরশাদের ছোট ভাই ইউসুফ আলীর সঙ্গে। এই হিল্লা বিয়ের মেয়াদ হবে ৩ মাস ১৩ দিন। ভৈরব গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক হাজী শাহ আলম হিল্লা বিয়ের ফতোয়া দিয়ে এ বিয়ে পড়ান।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট মাস আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে এরশাদ তার স্ত্রী রুমাকে তালাক দেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। এই ছেলের কারণে এরশাদ ও রুমা আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। গত সপ্তাহে তারা সিরাজগঞ্জ আদালতে নতুন করে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বিয়েটি মেনে নিতে পারেনি ভৈরব গ্রামের মুসল্লীরা। হাজী শাহ আলম গ্রামে ফতোয়া দেন— ‘রুমাকে হিল্লা বিয়ে দিয়ে পরে আবার তার আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে’।
গ্রামের বিরু প্রামানিক, মজিবর প্রামানিক, নুর ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় রুমাকে গত বুধবার রাতে হিল্লা বিয়ে দেন। বিষয়টি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
দূর্গানগর ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দেশের আইন অমান্য করে কতিপয় ফতোয়াবাজ এই হিল্লা বিয়ে দিয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,‘ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী রুমাকে হিল্লা বিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট মেয়াদ পরে তার আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে পড়ানো হবে।’
এ বিষয়ে উল্লপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সরকার বলেন,‘বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে হিল্লা বিয়ের কোনও অস্তিত্ব নেই।’
বিষয়টি নিয়ে গৃহবধূ রুমা খাতুনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘চাপের মুখে তিনি হিল্লা বিয়েতে বাধ্য হয়েছি।’