সব সংবাদ

প্রগতিশীল মুক্তমনা প্রকাশকদের উপর হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

01বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন প্রগতিশীল প্রকাশক ও ব্লগার আহমেদুর রশীদ টুটুল (শুদ্ধস্বরের প্রকাশক) সহ দুইজনের উপর মধ্যযুগীয় বর্বোরচিত হামলা এবং জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলে র‌্যাব-পুলিশের নির্লিপ্ততা, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জঙ্গিবাদ দমনে ব্যর্থতা প্রতিবাদে সেøাগান দেওয়া হয়। অব্যাহতভাবে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আওয়াজ উঠতে থাকে। বিক্ষোভ মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তা অতিক্রম করে রাজু ভাস্কর্যের দিকে গমন করে। রাজু ভাস্কর্যে প্রকাশক হত্যার প্রতিবাদে চলমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ সমাবেশে মিছিলটি সংহতি জানায়। রাজু ভাস্কর্য হতে বিক্ষোভ মিছিলটি অন্যান্য প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে মিলিত হয়ে জঙ্গি রূপ ধারণ করে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলটি ঢাবির সাধারণ গ্রন্থাগরের সামনে যেয়ে শেষ হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার আজকে শুধু প্রগতিশীল মানুষদেরকেই নয় একটি শিশুর স্বাভাবিক জন্মও নিশ্চিত করতে পারছে না। মায়ের পেটে লাথি মেরে শিশু হত্যার মত পর্যায়ে আজকে সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একের পর এক মৌলবাদী জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলার পরেও সরকার বলছে যে দেশে কোনো জঙ্গি নেই। অব্যাহতভাবে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদবিরোধী ব্লগার, লেখকদের এবং সব শেষে প্রকাশককে পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে মধ্যযুগীয় পাশবিক কায়দায়। ছাত্র নেতারা বলেন, যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা জনগণের স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চয়তা দিতে পারে না সে রাষ্ট্র ভেঙ্গে ফেলা উচিত। বক্তারা এই সকল প্রগতিশীল লেখক প্রকাশকদেরকে হত্যার পিছনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং সরকারের ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করেন। তারা তীব্র কণ্ঠে, সকল ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়ে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, জঙ্গি সংগঠনগুলো নিজেদেরকে স্বঘোষিত খুনি বলে দাবি করছে, তারপরেও সরকারের তাবড়-তাবড় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই, র‌্যাব, পুলিশ নির্বিকার। অথচ যখন ন্যায্য দাবিতে ছাত্র জনতার ক্ষুদ্রতম অংশ আন্দোলনে নামে, তখন প্রতি দশজন আন্দোলন কর্মীর পেছনে একজন গোয়েন্দা নিয়োগ দিতে সরকার দ্বিধা করেন না। সরকারের নির্লিপ্ততা এবং জঙ্গিবাদ দমনে ব্যর্থ প্রশাসনই প্রকৃত অর্থে সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দেশে মৌলবাদীদের সাহস বৃদ্ধি করছে। প্রথমে লেখক তারপর প্রকাশক এরপর হয়তো বিজ্ঞানমনোস্ক বই পড়ার জন্যও খুন হতে হবে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.