পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শ্বশুরকে গুলি করলেন শাশুড়ি
ঢাকা জার্নাল:পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল শ্বশুরের বিপক্ষে। বারবার সাবধান ও নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু না শোনায় ঘুমন্ত স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেন এক নারী। ওই নারীর নাম বেগম বিবি। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ার সংলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বেগম বিবির অভিযোগ, সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছেলের অনুপস্থিতে তাঁর পুত্রবধূকে বারবার জোরপূর্বক ধর্ষণ ও হেনস্তা করছিলেন তাঁর স্বামী গুলবার খান। বেগম বিবির দাবি, পারিবারিক সম্পর্ককে অসম্মান করার জন্য এমন সাজা প্রাপ্য ছিল গুলবারের।
পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীকে গুলি করার কথা গত শনিবার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ওই নারী।
পাখতুনখাওয়া আলপুরী পুলিশ সদর দপ্তরের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ আমজাদ আলী খান জানান, গত বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রী।
ওই নারীর স্বীকারোক্তিমূলক বিবৃতির বরাত দিয়ে আমজাদ আলী খান বলেন, ‘প্রায় নয় মাস আগে ওই দম্পতির ছেলের বিয়ে হয়। পরে তাঁর স্বামী পুত্রবধূকে জ্বালাতন করতেন এবং বারবার তাঁকে ধর্ষণ করেন।’
স্বামী অপরাধের কথা বর্ণনা করে ওই নারীর স্বীকারোক্তিতে আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলার পরও তিনি যখন খারাপ অভ্যাস ছাড়েননি, তখন তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ওই নারী আরও বলেন, তিনি তাঁর পুত্রবধূর সাহায্যে রাতে ঘুমিয়ে থাকা তাঁর স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেন।
নির্যাতিতার স্বামী জানান, তিনি জানতেন তাঁর স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু বাবাকে কিছু বলতে পারেননি। মাকে জানিয়েছিলেন, তিনি প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন। এর পরেই মা বেগম বিবি এ সিদ্ধান্ত নেন।
ওই নারী ও পুত্রবধূকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে ‘পারিবারিক সম্মান রক্ষার নামে হত্যা’র এ ঘটনা হঠাৎ ঘটলেও এমন নজির পাকিস্তানে বিরল। তথ্যসূত্র: ডন ও হিন্দুস্থান টাইমস।
ঢাকা জার্নাল, জুন ০৫, ২০১৭।