নয়ন হত্যাকাণ্ড: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দুই আসামির
ঢাকা জার্নাল : রাঙামাটির লংগদু উপজেলার যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়নকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে হাজির করা হলে রবিবার তারা এ জবানবন্দি দেন।
রবিবার (১১ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে রমেল চাকমা ও জুনেল চাকমাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তারা ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে উভয় আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (৯ জুন) দুই জনকে দিঘীনালা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে নয়ন হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং নয়নের মোটরসাইকেল ও হেলমেট উদ্ধার করে পুলিশ। রাঙামাটির কাপ্তাই থেকে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল ও খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্যরা মিলে প্রায় ৩ ঘন্টার অভিযানের পর মাইনী নদী থেকে নয়নের মোটরসাইকেল ও হেলমেট উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই দুইজন পুলিশের কাছে স্বীকার করে, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশেই তারা নয়নকে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন লংগদু উপজেলার নুরুল ইসলাম নয়নের মোটরসাইকেল লংগদু থেকে খাগড়াছড়িতে ভাড়ায় এনে খাগড়াছড়ি সদরের চারমাইল এলাকায় নয়নকে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে মোটরসাইকেলটি দিঘীনালা উপজেলার মাইনী নদীতে ফেলে দেয় তারা। এদিকে হত্যার ঘটনায় নিহত নুরুল ইসলাম নয়নের ভাই দীন ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরূদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন দিঘীনালা উপজেলার পাকুজ্যাছড়ি এলাকার রমেল চাকমা ও রাঙামাটির লংগদু উপজেলার জুনেল চাকমা। তাদের সঙ্গে বাবুরাজ চাকমা নামে আরও একজন ছিল, তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বাবুরাজের বাড়ি খাগড়াছড়ির দিঘীনালায়।
ঢাকা জার্নাল, জুন ১১, ২০১৬।