শিক্ষা-সংস্কৃতিসব সংবাদ

নিয়োগ বিধি সংশোধনের দাবি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের

নিয়োগবিধি সংশোধন করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি চালু করার দাবি জানিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। এই দাবিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি রিয়াজ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাদের নেতৃত্বে সারাদেশের প্রধান শিক্ষকরা নিজ নিজ উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেন।

এতে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদেরকে স্থায়ী পদোন্নতি দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।

সম্প্রতি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাস হওয়া ’প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২১’ -এ প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির বিধান যুক্ত না করায় তা সংশোধন করে বন্ধ থাকা পদোন্নতি চালুর দাবি জানান শিক্ষকরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারি নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৫’ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক থেকে ঊর্ধ্বতন পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর এক সংশোধনী গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ করা হয়, যা প্রধান শিক্ষকদের কাছে একটি ‘কালো আইন’ নামে পরিচিত।

এর ফলে প্রধান শিক্ষক পদটি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ‘ব্লক পোস্ট’ হিসেবে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি না হওয়ায় এসব প্রধান শিক্ষক হতাশায় কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। সংশোধিত ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২১’ এ দুইটি পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদেরকে শুধুমাত্র বিভাগীয় প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। আর এসব পদে আবেদনের বয়সসীমা রাখা হয়েছে ৪৫ বছর। ফলে খুবই অল্পসংখ্যক প্রধান শিক্ষক এসব পদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

প্রধান শিক্ষকদের ওপরের ও নিচের সকল পদের পদোন্নতি থাকলেও শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি নেই বলেও উল্লেখ করা হয় স্মারকলিপিতে।

প্রধান শিক্ষকদের মার্যাদার বিষয়টি তুলে ধরে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক যুগান্তকারী ঘোষণায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দশম গ্রেডসহ দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদার সুফল ভোগ করতে পারছেন না প্রধান শিক্ষকরা। আবার দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ায় হাজার হাজার প্রধান শিক্ষক তাদের বকেয়া টাইমস্কেলও পাচ্ছেন না।

অপরদিকে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি না হওয়ার ফলে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির নিয়ম থাকলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না।