নিজের জন্মস্থানে শেষবারের মতো বিনোদ বিহারি
বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে দক্ষিণ কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালে মারা যান বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী।
আজ শুক্রবার বেলা ১২টা ৫ মিনিটে তার মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তার পুত্রবধূ উপালি চৌধুরী ও পৌত্র সোমশুভ্র চৌধুরীও একই ফ্লাইটে দেশে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে বিনোদ বিহারীর মরদেহ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর। প্রয়াতের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিমান থেকে নামানোর পর বিনোদ বিহারীর কফিন জাতীয় পতাকায় জড়িয়ে ফুলে সাজানো একটি গাড়িতে তোলা হয়।
পঙ্কজ দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, বিপ্লবীর মরদেহ বিমানবন্দর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়ার পর বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সেখানে রাখা হবে সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পর রাষ্ট্রীয় হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার নিজের এলাকা চট্টগ্রামে।
শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সেখানেই বলুয়ার দীঘি অভয়মিত্র শ্মশানে তার শেষকৃত্য হবে বলে জানিয়েছেন রানা দাশ গুপ্ত।
১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম নেয়া বিনোদ বিহারী ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন। তিনি ছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেনের সঙ্গী।